শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির আশা দেখছেন নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট, সংক্ষেপে ন্যাটো) সাবেক জেনারেল হ্যান্স-লোথার ডোমরোজ। জার্মানির এ সাবেক সেনা ও ন্যাটোর শীর্ষ কর্মকর্তা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার মনে হয় এ গ্রীষ্মে উভয়পক্ষ বলবে, যুদ্ধ আর হচ্ছে না। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।
২০২৩ সালের মাঝামাঝির আগে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের গতি অচলাবস্থায় পৌঁছাতে পারে। তখনই যুদ্ধবিরতির আলোচনার মুহূর্ত হবে বলে মনে করেন ডোমরোজ।
ডোমরোজ ইউরোপে ন্যাটো কমান্ডে জ্যেষ্ঠ পদে দায়িত্বে ছিলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতি মানে শান্তি ফিরে আসবে এমন নয়। যুদ্ধবিরতির অর্থ গোলাগুলি বন্ধ। আলোচনার জন্য দীর্ঘ সময় প্রয়োজন, যেখানে মধ্যস্থতাকারী থাকা প্রয়োজন।
একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস অথবা তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে রাখা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত যুদ্ধ বন্ধে এর আগে তুরস্কে ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে বৈঠক হয়। কিন্তু আলোচনার ফল ছিল শূন্য।
এদিকে যুক্তরাজ্যর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের সহযোগী পরিচালক মাইকেল ক্লার্কের মতে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন আগামী বসন্তে ইউক্রেনে নতুন করে হামলা করতে পারেন। এ হামলা চলমান যুদ্ধের ভাগ্যনির্ধারক হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলায় এখন উভয় পক্ষের বিরতি দরকার। তবে যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এখন ইউক্রেনীয় পক্ষ আরও ভালোভাবে সুসজ্জিত, অনুপ্রাণিত। তারা অন্তত
রাশিয়ার ওপর চাপ বজায় রাখবে বলে আশা করা যায়। তার মতে, যুদ্ধে বড় সাফল্য পেলে কিয়েভ থামবে না। যেমনটা তারা খেরসন পুনরুদ্ধারের পর দক্ষিণ-পশ্চিমে হামলা জোরদার করেছে। ফলে কিয়েভের দিক থেকে চলতি বছর হঠাৎ নতুন হামলার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক বিশ্লেষক আন্দ্রেই পিয়নটকভস্কির মতে, ২০২৩ সালের বসন্ত নাগাদ ইউক্রেন সম্পূর্ণরূপে তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার করে জয়ী হবে।