নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘এ ওয়ান’। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ অক্টোবর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত ব্যাংকঋণের অবস্থান এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৮ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৮ টাকা ২০ পয়সা। ওইদিন ১২ লাখ ৪২ হাজার ৩১১টি শেয়ার মোট এক হাজার ৩৬৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় কোটি আট লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫২ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা এক পয়সা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ৬১ লাখ ১৫ হাজার ৩৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং বাকি ৪৩ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড: কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘বিবিবি ওয়ান’। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত ব্যাংকঋণের অবস্থান এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ারদর এক দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৫ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ১৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৪টি শেয়ার ৯২৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা এবং সর্বনি¤œ দর ২০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০০০ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ১৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ১১ কোটি আট লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি। মোট শেয়ারের মধ্যে সাত দশমিক ৮৪ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ বিদেশি ও ৭৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।