নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার প্রথম থেকেই সম্মুখ সারিতে থেকে যুদ্ধ করে যাচ্ছে কাস্টমস বিভাগ। বিশেষ করে দেশের ছয়টি কাস্টমস হাউস। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, চিকিৎসা সরাঞ্জাম খালাস থেকে শুরু সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে এ কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যুবরণও করেছেন। এবার সেই কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ছয়টি কাস্টম হাউসের জন্য মাস্ক, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ জুন) রাজধানীর সেগুনাবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রাঙ্গণে চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে এসব হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার বা ইউএসডিএ) থেকে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাথে সৌহাদের অংশ হিসেবে এ মাস্ক ও সুরক্ষা সামগ্রী এনবিআরকে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে এক হাজার ৫০০ মাস্ক, ফুল গ্রাউন্ড পিপিই ইত্যাদি।
এনবিআর এসব মাস্ক ও পিপিই ছয়টি কাস্টম হাউসে বিতরণ করবেন। এসব মাস্ক ও পিপিই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা থেকে সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে কাস্টমস হাউসে আমদানি-রপ্তানির যেসব করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করেন।
বাংলাদেশের কাস্টমস বিভাগের কাছে মাস্ক, পিপিই হস্তান্তরের জন্য রাষ্ট্রদূত মিলার প্রয়োজনীয় ও অতি জরুরি জিনিসের আন্তর্জাতিক সরবরাহ অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, জরুরি সামগ্রী ও কৃষিপণ্যের সরবরাহ চালু রাখায় সহায়তা করতে আমাদের দেশগুলোকে অবশ্যই বিমান ও সমুদ্রপথসহ বাণিজ্যপথগুলো উন্মুক্ত থাকার গুরুত্ব বুঝতে হবে।
কাস্টম বিভাগের সব সাহসী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান তিনি। সামনের সারির কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সমুন্নত রাখার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করায় অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানান বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূতকে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরো বলা হয়, মার্কিন সরকার শুধু ইউএসএইডের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে করোনা মোকাবিলায় প্রায় ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশকে মোট ১৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
