সাইদ সবুজ, চট্টগ্রাম: আমদানিকারকরা সময়মতো খালাস করলে সরকার রাজস্ব পেত এক কোটি ২০ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে খালাস না করায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ১০ কনটেইনার ২৪৬ দশমিক ৮৮৪ টন কাঁচা পণ্য নিলামে বিক্রি করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। পাঁচজন নিলাম দরদাতা এক কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এসব পণ্য ক্রয় করেন। এতে জাতীয় রাজস্বে অতিরিক্ত যোগ হয়েছে ৫৭ লাখ টাকা। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা এসব কাঁচা পণ্য গত রোববার উম্মুক্ত নিলামে বিক্রি করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা।
বছরের বিভিন্ন সময় আমদানি করা এসব কাঁচা পণ্যের মধ্যে ছয় কনটেইনার আপেল, দুই কনটেইনার মাছ, এক কনটেইনার করে শুঁটকি ও আদা রয়েছে। নিলামে তোলা এসব পণ্যের রিজার্ভ ভ্যালু ধরা হয়েছিল তিন কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৬০ টাকা।
কাস্টমস নিলাম শাখা সূত্রে জানা যায়, নিলামে তোলা পণ্যের মধ্যে ছয়টি কনটেইনারে চীন থেকে আমদানি করা এক লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৬ কেজি আপেল রয়েছে। এর মধ্যে তিন কনটেইনার ভর্তি ৭৪ হাজার ৭১৮ কেজি আপেল কেনে চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা এলাকার মেসার্স রাব্বি এন্টারপ্রাইজ। ৩৪ লাখ টাকার সর্বোচ্চ দর দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান এসব আপেল কেনে। অন্য তিনটি কনটেইনারে থাকা সমপরিমাণ আপেল ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় কেনে ধনিয়াপাড়ার মেসার্স ন্যাশনাল ট্রেডিং।
এছাড়া পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ১৩ হাজার ৪৩৩ কেজি শুঁটকি বিক্রি করা হয় ২০ লাখ টাকায়। মাঝিরঘাট রোডের রফিক ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ী এসব শুঁটকি ক্রয় করেন। এ ব্যক্তি ২৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ২৭ হাজার কেজি এক কনটেইনার সামুদ্রিক মাছও ক্রয় করেন।
একইভাবে মিয়ানমার থেকে আনা ২৮ হাজার ২১৫ কেজি ইলিশ মাছ ৫৫ লাখ টাকায় ক্রয় করে সদরঘাটের নিয়ামত শাহ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ক্যাটালগের সর্বশেষ ২৮ হাজার ৮০০ কেজি আদার কনটেইনারটি ১১ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন নগরীর আগ্রাবাদের জাবেদা এন্টারপ্রাইজ।
কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমদানিকারকরা পণ্য খালাস না করায় বরাবরের মতো নিলাম করা হয়েছে। এতে চার রকমের ১০ কনটেইনার কাঁচা পণ্য ছিল। সর্বোচ্চ দরদাতা পাঁচটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব পণ্য বিক্রি করা হয়েছে।