ক্রীড়া ডেস্ক : মিচেল স্যান্টনারের স্পিনে একদিন আগেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল ইংল্যান্ড। গতকালও মনে হয়েছিল সফরকারীদের তিনিই ধসিয়ে দেবেন। কিন্তু মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের শেষ দিনে হিসাব বদলে দেন নিউজিল্যান্ডের পেসাররা। আর তাতেই ইনিংস ও ৬৫ রানে হেরে আত্মসমর্পণ করে ইংল্যান্ড।
ইনিংস হার এড়াতেই গতকাল ইংলিশদের প্রয়োজন ছিল আরও ২০৭ রান। সে লক্ষ্যে আগের দিনের তিন উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। কিন্তু দলটি চা বিরতির আগেই নীল ওয়াগনারের তোপে পড়ে সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ১৯৭ রানে। এর আগে ম্যাচের চতুর্থ দিনে ৯ উইকেটে ৬১৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে কিউইরা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড করেছিল ৩৫৩ রান। তাই স্বাগতিকদের চেয়ে দলটি পেছনে ছিল ২৬২ রান।
গতকাল ওয়াগনারের তোপেই খেই হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। একাই এ পেসার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্রান্ডহোম ও পেসার টিম সাউদি।
জো ডেনলি আর জো রুট গতকাল বেশ সাবধানেই শুরু করেছিলেন। ইংল্যান্ডও তাই আশা করছিল, নিরাপদেই পঞ্চম দিনের প্রথম সেশন কাটিয়ে দেবে। কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ করতে দেননি কলিন ডি গ্রান্ডহোম। এ পেসারের অফ স্টাস্পের বাইরে বল খেলতে গিয়ে অহেতুক ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রুট (১১)। এরপর ডেনলির সঙ্গে বেশ খেলছিলেন বেন স্টোকস। লাঞ্চ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট হারায়নি ইংল্যান্ড। টেস্ট বাঁচানোর আশা তখন ইংল্যান্ড শিবিরে, একটু একটু করে বাড়ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটে নেমেই সাউদিকে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেন স্টোকস (২৮)। ইংল্যান্ডের ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভাবনা তখনই শেষ প্রায়। ঠিক সে সময়ই বল হাতে আগুন ঝরাতে শুরু করেন ওয়াগনার। জো ডেনলিকে আউট করে ইংল্যান্ডের চূড়ান্ত পতনের শুরুটা করে দেন তিনি। এরপর ওলি পোপ, জস বাটলারকে সাজঘরের পথে দেখান তিনি।
চা বিরতির পর অবশ্য ইংল্যান্ডের হয়ে দুই টেল এন্ডার স্যাম কুরান ও জফরা আর্চার লড়াই করেন বেশ। কিন্তু তাদের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার আশা পূরণ করতে দেননি সেই ওয়াগনার। পরপর দুই বলে আর্চার আর স্টুয়ার্ট ব্রডকে ফিরিয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৬৫ রানের জেতার আনন্দে মাতে।
প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা বিজে ওয়াটলিং হয়েছেন ম্যাচসেরা। আগামী ২৮ নভেম্বর হ্যামিল্টনে শুরু হবে দুই দলের মধ্যেকার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।