শেয়ার বিজ ডেস্ক:কিউবার রাজধানী হাভানার একটি হোটেলে বিস্ফোরণে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭৪ জন। খবর: রয়টার্স।
গত শুক্রবার বিস্ফোরণে হোটেলের বাইরে থাকা যানবাহনও বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে হাভানার সারাতোগা হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে হোটেলটির কয়েকটি তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণটি হয়েছে।
বিস্ফোরণের পরপরই নিরাপত্তার খাতিরে হাভানার ঐতিহাসিক ভবনগুলো ঘিরে ফেলেছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পর কালো ধোঁয়া আর ধুলোয় তারা আকাশ ছেয়ে যেতে দেখেছেন। বিস্ফোরণের শব্দটি বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। হোটেলটি পার্লামেন্ট ভবনের অন?্যপ্রান্তে অবস্থিত। এটি শহরের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হোটেল। এটি কিউবার ঐতিহাসিক পাঁচ তারকা হোটেল। ১৯ শতকে গড়া সারাতোগা হোটেল বিদেশি পর্যটকদের কাছে বেশ পরিচিত। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এটি প্রায় খালি ছিল। এ সংকট কাটিয়ে আগামী চার দিনের মাথায় এটি পুনরায় চালু করার কথা ছিল। এ বিস্ফোরণের ফলে আপাতত হোটেলটি চালু করা যাচ্ছে না বলেই ধরা হচ্ছে। কারণ বিস্ফোরণের ফলে এর বাইরের দেয়ালের বেশিরভাগ অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিস্ফোরণের পর হোটেলের ধ্বংসাবশেষের ভেতরে আটকে থাকা সম্ভাব্য মানুষের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে কিউবান কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী ও একটি শিশু রয়েছে। এছাড়া আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল, প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল মারেরো ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রধান এস্তেবান লাজোর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হোটেলের ঠিক পেছনে একটি স্কুল রয়েছে। তবে স্কুলটির কোনো ক্ষতি হয়নি। স্থানীয় কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, বিস্ফোরণের পরপরই শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরানো গেছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি কোনো বোমা হামলার ঘটনা নয়। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকেপড়া মানুষকে উদ্ধারে কাজ চলছে। আর আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।