কিছু বড় শক্তি এ দেশে তাদের অনুগত সরকার চায়

শেয়ার বিজ ডেস্ক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের কয়েকটি বড় শক্তি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্বের কারণে এখানে তাদের অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘আসলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কিছু বড় দেশ চায় এখানে (বাংলাদেশে) এমন একটি সরকার থাকুক, যেটি তাদের পা চাটবে।’ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। খবর: ইউএনবি।

কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘তারা যদি কারও বন্ধু হয়ে যায়, তাহলে কোনো শত্রুর দরকার নেই।’ তবে ইউক্রেন তাদের বন্ধু বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ ইউক্রেনের অবস্থা কী? সেখানে নারী ও শিশুরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। এই ধরনের বন্ধুত্বের জন্য তাদের দেশকে ধ্বংস করা হয়েছে। এটাই বাস্তবতা।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের নির্বাচনে অপ্রয়োজনীয়ভাবে নাক গলানোর জন্য এসব দেশের সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, কিছু দেশ আছে যারা সব সময় গণতন্ত্র খুঁজছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে।

তিনি বলেন, এই দলের নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রক্ত দিয়েছেন। অথচ এখন গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার খুঁজছে এমন কিছু দেশের কথা আমাদের শুনতে হবে।

গণতন্ত্রের দাবিতে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যখন তিনি তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের কথা শোনেন, তখন তিনি অবাক হন।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বিএনপির জš§ হয়েছে।  জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। সুতরাং ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি তাদের সঙ্গে যায় না।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএনপির কিছু প্রভু আছেন, যারা বলছেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

প্রধনামন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যখন জাতির পিতাকে হত্যা করেছিলেন, সামরিক শাসন জারি ও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন, তখন তারা কোথায় ছিলেন? আর এইচ এম এরশাদ যখন সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করেন তখন কোথায় ছিলেন?

তিনি বলেন, সে সময় আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করেছি, কিন্তু তাদের দেখিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম।

ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোন্নাফী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০