সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন ঝরঝরে শরীর ও চাঙা মন। অথচ আমরা কমবেশি স্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীন। তাই দেখে নিতে পারেন স্বাস্থ্যহানির কয়েকটি বদ-অভ্যাস ও তার ক্ষতিকর দিকগুলো।
সকালে নাস্তা না করা
ব্রেকফাস্ট শরীরের জন্য হিতকর। সকালে নাস্তা বাদ দিলে শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি হারায়। এ বদ-অভ্যাসের ফলে অনেক ক্যালরি ক্ষয় হয়। আর এটা পূরণের জন্য দিনের অন্য সময় অনেকে বেশি বেশি খেয়ে থাকেন। গবেষণায় প্রমাণিত, সকালের নাশতা আপনার মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা মজবুত করে।
ত্বকের যত্নে উদাসীনতা
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে এটা আমরা কম-বেশি জানি। এ রশ্মি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে দেয়। অকাল বার্ধক্য, এমনকি ত্বকের ক্যানসার থেকে মুক্ত হতে রোদ এড়িয়ে চলুন।
ধূমপান
একটা ভালো যুক্তি কি পাওয়া যাবে ধূমপানের পক্ষে? কাশি, বুক ব্যথা প্রভৃতির পাশাপাশি ধূমপান কমিয়ে দেয় প্রজনন ক্ষমতা, বাড়িয়ে দেয় উচ্চরক্তচাপ ও হার্টের অসুখ। বাজে অভ্যাসটি নারীর রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় ও জটিল করে তোলে গর্ভধারণ।
ক্যালরি
কফি, সোডা, জুস, কিংবা অ্যালকোহল ক্যালরি বাড়িয়ে দেয়। কোমল নাম হলেও এসব পানীয় মোটেও কোমল নয়। এগুলো স্থূলতার জন্য দায়ী। মূত্রথলিতে ক্যানসারের ঝুঁকি তো রয়েছেই।
কম ঘুমানো
মানুষের প্রয়োজন দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম। অথচ আমাদের লাইফস্টাইলে রাতজাগা যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এর ফলে হঠাৎ মোটা হয়ে যেতে পারেন। ভুগতে পারেন বিষণœতায়। হতে পারে হার্টের অসুখ। ইনসুলিন কমে যেতে পারে। স্মৃতিক্ষয়ও হতে পারে।
চিকিৎসককে এড়িয়ে যাওয়া
চিকিৎসকের কাছে যেতে পছন্দ হয় না কারোরইÑএটা স্বাভাবিক। তবে অসুখ সারাতে ও নিয়মিত চেপআপ করানোর জন্য তার কাছে যেতেই হবে। তাই তিক্ত
অভিজ্ঞতা ও সময় নষ্টের অজুহাত বাদ দিন। শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের কাছে যান।
Add Comment