নিজস্ব প্রতিবেদক: ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কভিডের টিকা নভেম্বরের প্রথম দিন থেকে দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, এ শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি প্রায় শেষ দিকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা পাওয়ার পর নিবন্ধনের জন্য তা আইসিটি মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে।
আইসিটি মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে, তারাও মোটামুটি সবকিছু সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনে দিয়েছে। এখন নিবন্ধনের বাকিটা স্কুল থেকে করবে। আশা করছি, স্কুলের ছেলেমেয়েদের ১ নভেম্বর থেকে টিকা দিতে পারব।
গতকাল তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, এ বয়সী শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতি দিন ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিতে পারবে।
ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে এ টিকা সংরক্ষণ করতে আল্ট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হয়। আর পরিবহনের জন্য থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান লাগে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ঢাকায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের টিকা দেয়ার জন্য ১২টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
সারাদেশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কবে শুরু হবে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিটি জেলায় শিশুদের টিকা দেয়া হবে। সেজন্য যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ নেই, সেখানে তা করতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজও দেয়া হয়। তাদের কারও কোনো সমস্যা হয়নি বলে সরকারের তরফ থেকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে।
এরই মধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের ৭০ লাখের বেশি ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর পুরোটাই এসেছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। নভেম্বরে ফাইজারের আরও ৩৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।