আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের চারটি শহরে ফের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। খবর আল জাজিরা।
মস্কোভিত্তিক বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ চারটি শহরে হামলা বন্ধ করে মানবিক করিডোর খুলে দেবে রুশ সামরিক বাহিনী। কিয়েভ ছাড়াও অন্য তিনটি শহর হচ্ছে খারকিভ, মারিউপোল এবং সুমি।
স্থানীয় সময় সোমবার (৭ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
আলজাজিরা বলছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগত অনুরোধে এবং সেসব শহরের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক করিডোর খুলে দেওয়া হচ্ছে। মূলত শহরগুলোত আটকে পড়া নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষকে নিরাপদে বের হওয়ার সুযোগ দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বের শহর মারিউপোল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই দফায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে একটি মানবিক রুট খোলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। যুদ্ধবিরতি ও সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় পরস্পরকে দোষারোপ করেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন।
গত শনিবার প্রথম দফায় একটি খণ্ডকালীন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতির ঘোষণার কিছু সময় পরই নতুন করে বোমা হামলা শুরু হওয়ায় সেটি ব্যর্থ হয়। অবশ্য ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হওয়ার পর ইউক্রেন দাবি করেছিল, রাশিয়া প্রতিশ্রুতি মতো মানবিক করিডর তৈরি করেনি এবং মারিউপোলের বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে যেতে বাঁধা দিয়েছে।
এরপর রোববার সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় খণ্ডকালীন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ইউক্রেনের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও একটানা গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখে রুশ সামরিক বাহিনী।
তবে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনবাসী শর্ত পালন করেনি। তারা কোনোভাবেই শান্তি বজায় রাখতে আগ্রহী নয়। আর তাই ফের হামলা শুরু করা হয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাজধানী কিয়েভসহ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া চারটি শহরই বর্তমানে ব্যাপক রুশ আক্রমণের অধীনে রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।