Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 1:12 pm

কুবি সাংবাদিক ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ৮ জনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে ।

বুধবার (৯ আগস্ট) ইকবাল মনোয়ারের পক্ষে এ আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। আগামী তিন দিনের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

উপাচার্য ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যানকেও ডাকযোগে এবং ইমেইলে নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান জানান, ইকবালকে বহিষ্কারের আদেশে কোনো আইন বা বিধির উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া তাঁর সংবাদে উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মূলত উপাচার্য তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই ইকবালকে বহিষ্কার করেছেন।

তিনি আরও জানান, কোনো সংবাদে উপাচার্য সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে তাঁর প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। তা না করে ইকবালকে বহিষ্কার করে উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ইকবাল সংবাদকর্মী হিসেবে শুধু উপাচার্যের হুবহু বক্তব্য তুলে ধরেছেন, যার অডিও রেকর্ড তাঁর কাছে রয়েছে। ইকবালকে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যার জন্য নোটিশ না দিয়ে বহিষ্কারাদেশ ন্যায়বিচারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। এটি বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ (২) (খ) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারেরও পরিপন্থী।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই উপাচার্যের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। এরপর ২ আগস্ট সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।