কুমিল্লার ঘটনার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, এ মামলার যখন পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এর বিচার হবে। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে। আর মামলার অ্যাভিডেন্স হিসেবে ভিডিও ফুটেজ গ্রহণ করার একটা ধারা আছে, এটা নিয়ে কোনো অসুবিধা হবে না।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

নবাগত সাব-রেজিস্ট্রারদের বরণ ও রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসের সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় উপলক্ষে বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ‘সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা’ আয়োজন করে। সেখানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমি যতটুকু জানি, নাসিরনগর মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত শেষ না হয়, ততক্ষণ আদালতের বিচারের এখতিয়ার নেই। পুলিশ প্রতিবেদন না পেলে আদালত বিচার কাজ শুরু করতে পারে না। যে মুহূর্তে পুলিশের তদন্ত শেষ হবে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো ঘটনাই বিলম্ব করার ইচ্ছা বা ইচ্ছাকৃত বিলম্ব হচ্ছে না। একটা ঘটনায় আইনসঙ্গতভাবে সাজা দিতে অনেক প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়।

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটি চলতে থাকবে। বিচারক নিয়োগের নীতিমালার বিষয়ে আমরা চিন্তা করছি।

মন্ত্রী বলেন, যে যেই ধর্ম পালন করুক না কেন, তাকে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ও তার ধর্ম রক্ষা করার অধিকার সংবিধান দেয়। বর্তমানে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে ব্যাঘাত করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা উন্নয়নকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে, তাদের সমষ্টিগতভাবে রুখে দিতে হবে।

রেজিস্ট্রারদের বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা যদি সঠিকভাবে কাজ করেন, তাহলে হতাশ হবেন না। কোনো ডিপার্টমেন্ট সমস্যার ঊর্ধ্বে নয়। একটা সমস্যার সমাধান হয়, পরে আরেকটা সমস্যার উদ্ভব হয়। সমস্যা ও সমাধান নিয়েই আমাদের পথচালা। সমস্যা আছে, সমাধানও হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে মামলার উৎপত্তি হয় দুটা কারণে, জমি-সংক্রান্ত ও ব্যক্তিগত কারণে। মানুষের প্রাণের ধন জমি, জীবন দিয়ে হলেও সেটা মানুষ রক্ষা করতে চায়। সে অর্থে আপনারা সেটার কিছুটা হলেও রক্ষক। সেইভাবেই জনগণকে আপনাদের সেবা দিতে হবে।

জমির ই-রেজিস্ট্রেশন চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের ই-রেজিস্ট্রেশনের পাইলট প্রকল্প চলমান। আগামী ৩১ অক্টোবর সেটার রিপোর্ট পাবো, সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে ই-রেজিস্ট্রেশন চালু করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন) শহীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির প্রমুখ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০