শেয়ার বিজ ডেস্ক: ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণে মুখর হবে ‘সাগরকন্যা’-খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। এর মধ্য দিয়ে মহামারির মন্দা কাটিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য গতি পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পর্যটকরা এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং দিয়ে রেখেছেন বলে কুয়াকাটা পর্যটন হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ।
কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ‘ঈদ-পরবর্তী সময়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে, এমন ধারণা মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।’
এজন্য বরিশালে অতিরিক্ত পর্যটন পুলিশ চাওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। চিকিৎসক দল, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদসরাও তৈরি রয়েছেন বলে জানান কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি মো. আবদুল খালেক।
কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুগ্ধকর ১৭ কিলোমিটার বেলাভ‚মি রয়েছে। পর্যটকরা এখানকার নারিকেল বীথি, ফয়েজ মিয়ার বাগান, জাতীয় উদ্যান (ইকোপার্ক), শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া কুয়াকাটার পশ্চিমে ফাতরার বন, গঙ্গামতি, লাল কাঁকড়ার চর, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুঁটকি পল্লিও ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, কভিডের দুই বছরে কুয়াকাটায় ব্যবসা-বাণিজ্য একেবারে স্থবির হয়ে গিয়েছিল। শীত মৌসুমে কিছু পর্যটকের আনাগোনা ছিল। আশা করছি, এবারের ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে ৫০ হাজারেও বেশি পর্যটকদের আসবে এখানে।
কুয়াকাটা সিকদার রিসোর্স অ্যান্ড ভিলার ব্যাবস্থাপক (হিসাব ও প্রশাসন) মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘ঈদের পরবর্তী তিন দিন আমাদের কটেজ এবং রুমগুলো পুরোপুরি বুকিং হয়ে গেছে। আগাম বুকিং দেখে মনে হচ্ছে ঈদ-পরবর্তী সময়ে টানা ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড় হবে।’
কুয়াকাটা গ্রিন ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কুয়াকাটা সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের পরিচালক আবুল হোসেন রাজু বলেন, ঈদের টানা ছুটির কথা মাথায় রেখে কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেলের রুম বুকিং করছেন পর্যটকরা। এরই মধ্যে আমাদের হোটেলের ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। ঈদের পরের দিন থেকে পর্যটকদের সমাগম শুরু হয়, এক সপ্তাহ এটা থাকে।
কুয়াকাটা ভুঁইয়া মার্কেটের সভাপতি মো. নিজাম বলেন, মহামারির কারণে গত দুই বছর পর্যটকরা তেমন আসেননি। তবে এ বছর ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, নিরাপত্তাসহ সবকিছু বিবেচনা করেই এবার ঈদের ছুটিতে আগত পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সূত্র: বিডি নিউজ।