Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:48 pm

কুর্দিস্তানের স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোট

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কুর্দিস্তানের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা উপেক্ষা করেই ভোট দিয়েছেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা। এ গণভোটের পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে এরই মধ্যে হুঁশিয়ার করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আবাদি।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে কুর্দিস্তানের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট শুরু হয়। প্রায় দুই হাজার ৬৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। ১০ ঘণ্টা এ কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ হয়। আজ মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল পাওয়া যাবে।

ইরাকে কুর্দিদের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মতো। সেখানে কুর্দিদের সশস্ত্র লড়াই প্রথম শুরু হয় ১৯৬১ সালে। এর পর ১৯৭০ সালে তাদের কার্যত স্বায়ত্বশাসন দেওয়া হয়, কিন্তু তা অচিরেই ভেঙে পড়ে। সত্তরের দশকে কুর্দিদের বিভিন্ন এলাকা থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে আরবদের বসতি স্থাপন করানো শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় কুর্দিরা ইরানকে সমর্থন দেয়। আর তার পর সাদ্দাম হোসেন তার প্রতিশোধ নেন নির্মম অভিযান চালিয়ে। তবে ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পর ইরাকের তিনটি প্রদেশ ইরবিল, ডোহুক ও সুলাইমানিয়ায় কুর্দিরা আঞ্চলিক সরকার গঠন করে সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে।

নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, কুর্দিস্তান ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকার প্রায় ৫৬ লাখ মানুষের ভোটাধিকার রয়েছে। ব্যালটে ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা কুর্দিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান কি না। ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোট দেন। তেলসমৃদ্ধ প্রদেশ কিরকুকসহ উত্তরাঞ্চলীয় শহর ইরবিল এবং রাজধানী বাগদাদের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলোতেও ভোটগ্রহণ করা হয়।