প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি টানা ২৮ দিন ধরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১ জুন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমায় অবস্থান করে। পরে ২ জুন থেকে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানির বিপৎসীমার ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। গতকাল দুপুর ১২টায় এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবাহিত হয়। এ নিয়ে টানা ২৮ দিন ধরে ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া শুক্রবার দুপুর ১২টায় সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ১২ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। সেখানে শুক্রবার দুপুরে সুরমার পানি ৯ দশমিক ৮৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়।
সিলেটের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, কুশিয়ারা নদীতে জুড়ী নদী ও শেরপুরের মনু নদের পানি এসে মিলিত হয়। একই নদীতে আরও দুটি নদীর পানি মিলিত হওয়ায় পানি বেড়ে যায়। ফলে কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার নিচে নামতে সময় লাগে। এছাড়া নিম্নাঞ্চল প্লাবিত থাকায় এবার পানি ধীরগতিতে নামছে। তবে নতুন করে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতি দ্রুতই উন্নতি হবে।
সিলেটের আবহাওয়া অধিদপ্তর গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা সিলেটে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছিল। তবে শুক্রবার ও গতকাল শনিবার হালকা বৃষ্টি হয়েছে। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সতর্ক বাণী দেয়া হয়েছিল। তবে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৬টার মধ্যে সিলেটে ১৪ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।