নওগাঁর মান্দা উপজেলার কুশুম্বা মসজিদে প্রায় প্রতি শুক্রবার দর্শনার্থীর ভিড় লেগে থাকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ভিড় দেখা যায়। তবে শুক্রবার জুমার নামাজের দিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে মানত পূরণে আসে।
কুশুম্বা মসজিদ শুধু পর্যটনের স্থানই নয়। বিভিন্ন রোগে আক্রান্তরা তাদের মনোবাসনা পূর্ণ হলে কুশুম্বা মসজিদের দিঘির সুশীতল পানিতে গোসল করেন। এরপর মসজিদের পাশে নির্ধারিত স্থানে তাদের মানতের গরু, ছাগল, ভেড়া, মোরগ-মুরগি জবাই করে রান্না করেন। প্রথমে তা মসজিদে তাদের দাওয়াতি লোকজনদের খাবার দেন। এরপর তাদের মানত সম্পন্ন হয়। অনেকে মৌসুমি ফলÑবিশেষ করে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, ডাব, নারিকেল দিয়ে থাকেন গাছে ফল বেশি ধরার জন্য।
গত শুক্রবার আমজাদ হোসেন কুশুম্বা মসজিদে এসেছেন কুষ্টিয়া থেকে। বেলা ১২টার দিকে দিঘিতে গোসল করছিলেন। তিনি বলেন, পেটে দীর্ঘদিনের ব্যথা ছিল। এখন তা ভালো হয়ে গেছে।
জেলার মহাদেবপুর থেকে এসেছেন হামিদা বেগম। অনেক আগে মানত করেছিলেন। তাই শুক্রবার
আত্মীয়-স্বজনসহ কুশুম্বা মসজিদে এসেছেন মানত পূরণ করতে।
নওগাঁ শহর থেকে কুশুম্বা মসজিদে পরিবারসহ বেড়াতে এসেছেন ফেরদৌসি আরা। পাঁচ টাকার নোটে কুশুম্বা মসজিদের ছবি আছে। নিজ চোখে সেই মসজিদ দেখার পর এখন তারা সবাই খুশি।
প্রতি ঈদ উপলক্ষে কুশুম্বা মসজিদের চার পাশে বসে গ্রামীণ মেলা। এলাকাবাসী ও কুশুম্বা মসজিদে আসা দর্শনার্থীর দাবিÑসরকারিভাবে এখানে একটি মিনি মিউজিয়াম গড়ে তোলা দরকার।
একেএম কামাল উদ্দিন টগর