Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 8:26 pm

কুষ্টিয়ায় মাদ্রাজি ওলকচু চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা

কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় গত কয়েক বছর ধরে দেশি ওলের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে মাদ্রাজি ওলকচু। পতিত ও বেলে দোঁ-আশ মাটিতে এ মাদ্রাজি ওলকচুর চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ফলে প্রতি বছর এ মাদ্রাজি ওলকচু চাষিদের কাছে এখন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাজারে চাহিদার পাশাপাশি এর দামও ভালো।

মাদ্রাজি জাতের এ ওলকচু চাষে বিঘাপ্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ করে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। অতি নরম ও সুস্বাদু হওয়ায় ক্রেতারাও ঝুঁকছেন মাদ্রাজি এই ওলের প্রতি। তাই দিন দিন বাড়ছে এর কদর।

এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রতিটি গাছ থেকে ৮-২০ কেজি পর্যন্ত ওলের ফলন পেতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামে দুই বিঘা মাদ্রাজি ওলকচু চাষ করেছেন কৃষক আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে এর আগের বছরও এক বিঘা জমিতে এ ওল রোপণ করেছিলাম। লাভও বেশি পেয়েছিলাম। তাই এবার দুই বিঘা জমিতে এই ওল রোপণ করেছি। আর কয়েক মাস পরেই এই ওল উত্তোলন করা হবে।

একই এলাকার কৃষক সাইফুল্লাহ জানান, এক বিঘা জমিতে ওলচাষ করতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। ফলন ভালো হলে সেখান থেকে ১৪০ থেকে ১৫০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। বিক্রি করে এক লাখ টাকার ওপরে লাভ পাওয়া সম্ভব।

কুমারখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, বেশি লাভের ফলে ওলচাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। কুমারখালী উপজেলায় ওলচাষ এখন অর্থকরী ফসলে রূপ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওল চাষের পাশাপাশি ওলের বীজও উৎপাদন করেও আরও বেশি লাভের মুখ চোখে দেখছেন কৃষকরা। এর বীজ বিক্রি করলে লাভ হয়। এক হাজার টাকা মণ ওলের বীজ বিক্রি হয়। ফলে এটি বর্তমানে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীতে এ ফসলের চাষটি আরও বাড়বে বলেও যোগ করেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হায়াৎ মাহমুদ বলেন, এই ওল চাষ সম্প্রসারণে আমরা কৃষকদের উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধকরণের চেষ্টা করছি ও নানাভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। মাদ্রাজি ওল চাষে লাভ বেশি হওয়ায় উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে এই ওল চাষ। এ বছর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে ওল চাষ হয়েছে।