কুষ্টিয়ায় নারীরা ব্যস্ত কুমড়োবড়ি তৈরিতে

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: শীত এলেই কুমড়োবড়ির কথা মনে পড়ে যায়। সে সঙ্গে পিঠা-পায়েস তো আছেই। এই শীতে ইতোমধ্যেই কুষ্টিয়া জেলার সর্বত্র চলছে কুমড়োবড়ি তৈরির হিড়িক। এখন এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামের প্রায় ঘরেই মৌসুমি খাদ্য হিসেবে কুমড়োবড়ি তৈরি হচ্ছে। এটি খাদ্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। সবজি-তরকারি ছাড়াও প্রায় সব তরকারিতে এই বড়ি খাদ্য সহযোগী উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া আলাদাভাবে ভর্তা করেও কুমড়োবড়ি খাওয়া যায়। শীত মৌসুমে এ সুস্বাদু কুমড়োবড়ি তৈরি, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলো শুধু শীত মৌসুমের পুরোটা সময় কুমড়োবড়ি উৎপাদন ও বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। খবর রাইজিংবিডি।

বাড়ির নারীরাই মূলত বড়ি তৈরি করেন। পুরুষরা বাজারজাত করে থাকেন। মাষকলাই পানিতে ভিজিয়ে নরম করে পাটায় বেটে বয়স্ক চালকুমড়া মিশিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাতে হয়। বড়িগুলো সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে সেগুলোকে বাজারে বিক্রি করা হয়। বাজারে কুমড়োবড়ির চাহিদা থাকায় পরিবারগুলো বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়ে থাকে। স্থানীয় বাজারে সুস্বাদু হিসেবে কুমড়োবড়ির বেশ কদর রয়েছে। ভোক্তারা বাজার থেকে কুমড়োবড়ি কিনে এনে তেলে ভেজে বিভিন্ন তরকারিতে দিয়ে রান্না করে থাকেন। কুমড়োবড়ি দেওয়া তরকারি বিশেষ স্বাদের হওয়ায় বহু মানুষ এ বড়ি পছন্দ করে থাকে। জেলার মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের কুমড়োবড়ি তৈরির কারিগর মেহেরুন্নেসা জানান, এই বড়ি তৈরিতে বুড়ো চালকুমড়া আর মাষকলাইয়ের ডাল লাগে। মাষকলাইয়ের ডাল ছাড়াও অন্য ডালেও তৈরি হয় এ বড়ি। রোদে মচমচে করে শুকালেই এর ভালো স্বাদ পাওয়া যায়। একই এলাকার আয়েশা খাতুন জানান, শীতে বড়ি তৈরি করে থাকি। নিজেরা খাওয়াসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও পাঠানো হয়।

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০