কুড়িগ্রামে সংযোগ সড়ক নেই, আছে সেতু

আমানুর রহমান খোকন, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নে সংযোগ সড়ক না থাকলেও সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে দুটি সেতু। ফলে সেতু দুটি অকেজো হয়ে পড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে সড়ক মেরামত না করে সেতু নির্মাণ করায় এলাকাবাসী কোনো সুফল পাচ্ছেন না। ফলে আশপাশের চারটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের কষ্টের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক ও শ্রমিকেরা যাতায়াতে চরম সংকটে পড়েছেন।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের নয়ারহাটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি সেতুর সংযোগ রাস্তা না থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে নয়ারহাট বাজারে সদ্যনির্মিত দুটি সেতু বর্তমানে জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। বিগত বন্যায় সেতুর সংযোগ রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে।

সূত্রমতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোগলবাসা ঘাট পার হয়ে নয়ারহাট রাস্তায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট সেতুটি নির্মাণ করা হয়। খেয়াঘাট থেকে নয়ারহাট পর্যন্ত সেতু সংলগ্ন প্রায় দুই কিলোমিটার একমাত্র কাঁচা উঁচু রাস্তাটি ২০১৭ সালের বন্যায় পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায়।

অপরদিকে পাঁচগাছি ইউনিয়নের ভেলুরবাজার থেকে নয়ারহাট রাস্তায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট আরও একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ সেতুটির সংযোগ সড়কটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সেতু দুটি নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই সংযোগ সড়ক বন্যায় বিলীন হয়ে গেছে। এর পর থেকেই সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতু দুটি যাতায়াতের ক্ষেত্রে জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। দীর্ঘদিন এর সংযোগ রাস্তা না থাকায় কঠিন দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হয়। নির্মাণ-পরবর্তীকাল থেকে সেতু দুটি অকেজো থাকায় এ এলাকার কৃষক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষদের যাতায়াতে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা আলপথ ধরে অনেক জায়গা ঘুরে ঘুরে শিক্ষাঙ্গনে আসা-যাওয়া করছে। কৃষকদের উৎপাদিত দ্রব্য হাটে নেয়ার সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।

এ বিষয়ে মোগলবাসা ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আমি সদ্যনির্বাচিত হয়ে এলাকার জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা কলে সংযোগ সড়কের প্রকল্প হাতে নেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদকে অবহিত করেছি। আশা করি দ্রুত সংযোগ সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গত বন্যা-পরবর্তী ভেলুরহাট-নয়ারহাট সেতুটির সংযোগ রাস্তায় মাটি ভরাট করা হলেও আবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপর সেতুটির সংযোগ রাস্তাটি বড় হওয়ায় প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। খুব শিগগিরই রাস্তা সংস্কার করলে সেতু দুটি চলাচলের জন্য উপযোগী হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০