Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 4:21 pm

কৃত্রিম স্ফটিক পণ্য উৎপাদনের ইউনিট করবে কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃত্রিম স্ফটিক পণ্য উৎপাদনের জন্য একটি ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, শতভাগ রপ্তানিমুখী কৃত্রিম স্ফটিক পণ্য উৎপাদনের জন্য আলাদা একটি ইউনিট স্থাপন করবে। আর টাঙ্গাইলের গড়াইতে অবস্থিত কোম্পানিটির বিদ্যমান এক নং ইউনিট প্রাঙ্গণে নতুন এ ইউনিটটি স্থাপন করা হবে। কোম্পানির ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপনের (বিএমআরই) অংশ হিসেবে এ ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। য–ক্তরাষ্ট্রের সানস্টোন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সহয়তায় প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৯১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। আগামী ২০২১ সালের জুনে নতুন এ প্রকল্পটির শেষ হবে বলে জানা গেছে। আর নতুন এ ইউনিট স্থাপনের পর কোম্পানিটির প্রথম বছরে করপরবর্তী ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা মুনাফা হবে বলে কোম্পানিটি প্রত্যাশা করছে।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬২ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১২ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ২৯ লাখ ৬৬ হাজার ৭০২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং বাকি ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৪৪ টাকা ৯০ পয়সা। ওইদিন ১৭ লাখ ১৫ হাজার ১১৫টি শেয়ার মোট এক হাজার ৪৭৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর সাত কোটি ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২৪ টাকা থেকে ৪৮ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৬২ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ২৫ পয়সা।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৫৪ দশমিক ১০ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৩৫ দশমিক ৬৩।