কৃষিবিদ ফিডের কিউআইওতে ৫৬০ কোটি টাকার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : এসএমই খাতে কৃষিবিদ ফিড লিমিটেডের কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা বা সাড়ে ২৬ গুন আবেদন জমা পড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ১০ অক্টোবর কৃষিবিদ ফিডের কিউআইও’র আবেদন ও চাঁদার টাকা জমা নেয়া শুরু হয়, যা ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলে। কিউআইও’র মাধ্যমে কোম্পানিটি ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর বিপরীতে জমা পড়ে ৫৫৯ কোটি টাকার আবেদন, যা মোট অঙ্কের ২৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।

কৃষিবিদ ফিডের নিলামে ৫১৩টি যোগ্য বিনিয়োগকারী (ইলিজিবল ইনভেস্টর) অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৩৪২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৭১ ব্যক্তি বিনিয়োগকারী আছে।

প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০৯টি বিড করেছে স্টক ডিলাররা। সমানসংখ্যক বিড জমা পড়েছে স্বীকৃত পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ডের। মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ৩৬টি বিড করেছে। মার্চেন্ট ব্যাংকের বিড জমা পড়েছে ২৭টি, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ১৭টি, বিমা কোম্পানির ১৫টি, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১২টি ও ব্যাংকের ১১টি। এছাড়াও অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজাররা জমা দিয়েছে পাঁচটি প্রস্তাব। আর অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের একটি প্রস্তাব জমা পড়েছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৯০তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির কিউআই অফারের অনুমোদন দেয়।

কোম্পানিটি কিউআইও’র মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে দুই দশমিক ২০ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২২ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কারখানা ভবন নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ডিজেল জেনারেটর ক্রয়, ডেলিভারি ভ্যান ক্রয় এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে এক দশমিক ৬৭ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৪৭ টাকায়।

এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এমটিবি ক্যাপিটাল।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০