Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 11:37 pm

কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের দিনাজপুর সফর

রফিকুল ইসলাম ফুলাল, দিনাজপুর: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেছেন, কৃষি ও কৃষকের কথা চিন্তা করে সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজিকীকরণের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে, কভিড মহামারিতে প্রণোদনাও দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের এসডিজি অর্জনে কৃষক কৃষি অবদান রাখছেন। ভবিষ্যতে গবেষণালব্ধ কৃষিযন্ত্র তৈরি ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে কৃষি জগতে।

কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরের ১৩ মাইল গড়েয়ায় হাবিপ্রবির গবেষক দলের উদ্ভাবিত মাল্টি ক্রপস ড্রায়ার মেশিন পরিদর্শনকালে বিএআরসির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। এ সময় কেজিএফএর প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বিআরআরআইএর মহাপরিচালক ড, শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বিএআরআই মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিভ অব ইরি বাংলাদেশের ড. হুমনাথ ভাণ্ডারি, এসিআইর সিইও ড. এ এইচ আনসারী, হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিচালক ড. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা প্রমুখ।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভুট্টা, গম ও ধান শুষ্ককরণ ড্রাইয়ার মেশিন বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে। গবেষকদের দেয়া তথ্যমতে, এটি জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব।

উল্লেখ্য, হাবিপ্রবির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাজ্জাত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের গবেষক দল ভুট্টা, গম ও ধান শুষ্ককরণ ড্রাইয়ার মেশিন উদ্ভাবন করেন। মেশিনটি ১৩ মাইল গড়েয়া বাজারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আজমাইন অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী এম আলিম আল রাজি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বসিয়েছেন।

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রাইং মেশিনটি দিয়ে স্বল্প সময়ে ও কম খরচে ফসল শুকানো সম্ভব। বর্ষা মৌসুমে বোরো বা ভুট্টা নিয়ে আর কৃষকদের দুচিন্তায় থাকতে হবে না। এটিই দেশের প্রথম কৃত্রিম পদ্ধতিতে শষ্য শুকানো মেশিন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

পরিদর্শন শেষে কেজিএফএর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হাবিপ্রবির ভিআইপি কনফারেন্স রুমে গবেষক ও প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে  মতবিনিময করেন। এ সময় হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান তাদের সহযোগিতা করেন।