নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় কৃষকের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিল থেকে এক লাখ ৮৩ হাজার ৭০ গ্রাহককে চার হাজার ২৯৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ হিসাবে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো। বিতরণ করা এ অর্থ স্কিমের মোট তহবিলের ৮৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
কভিডের প্রাদুর্ভাবের কারণে কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশ্যে ‘কৃষি খাতে বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ নামে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়। পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে জামানতবিহীন সহজ শর্তে মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছেন কৃষক।
যেসব ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের এ অর্থ সাধারণ কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করেছে, তাদের মধ্যে সফল বাস্তবায়নকারী ১৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে প্রশংসাপত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশংসাপত্র তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
প্রশংসাপত্র পাওয়া ব্যাংকগুলো হলোÑসোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, এক্সিম ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং মধুমতি ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান খান, নির্বাহী পরিচালক মো. আওলাদ হোসেন চৌধুরী ও কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল হাকিম প্রমুখ।
তামাকপণ্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার ঊর্ধ্বে নিয়ে যাওয়া বিশ্বব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণের সর্বোত্তম গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যৌক্তিক পরিমাণে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি শক্তিশালী করনীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই। কিন্তু গত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে তার ন্যূনতম প্রতিফলন ঘটেনি। বরং এ বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের নির্ধারিত মূল্য আদতে লাভবান করেছে তামাক কোম্পানিকে এবং সরকার হারিয়েছে বাড়তি রাজস্ব আয়ের সুযোগ। বর্তমান কর ব্যবস্থায় তামাকের চারটি স্তর থাকায় কর আরোপ এবং সরকারের রাজস্ব আদায়েও জটিলতার সৃষ্টি হয়।
৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে ত্রুটিপূর্ণ তামাক কর ব্যবস্থার পরিবর্তন করে তামাকের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে সাধারণ মানুষের দাবিকে আরও জোরালোভাবে উত্থাপনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা), টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের (টিসিআরসি) ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিবিবি) ট্রাস্ট যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় জনসচেতনতামূলক স্বাক্ষর ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডি লেক এলাকায় এর প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ওই ক্যাম্পেইনে তামাকজাত দ্রব্যের করবৃদ্ধি, শক্তিশালী তামাক কর নীতি প্রণয়ন ও তামাক কর আদায় ব্যবস্থা আধুনিকায়নের দাবি জানানো হয়।
ওই ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন বাটা সচিবালয়ের প্রকল্প কর্মকর্তা, সামিউল হাসান সজীব, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের নেটওয়ার্ক অফিসার আজিম খান, টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের (টিসিআরসি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং বাংলাদেশের (আইডব্লিউবি) পলিসি অফিসার আ. ন. ম মাসুম বিল্লাহ ভূঞা ।
ওই ক্যাম্পেইনে সই করেন ৩০০ জন অংশগ্রহণকারী। তারা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন এবং জনস্বার্থকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে অতিদ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য তামাক করনীতি গ্রহণের দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি