Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 5:30 pm

 ‘কৃষি ব্যাংকের ডিপোজিট বেড়েছেদুই হাজার কোটি টাকার ওপরে’

প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:‘কৃষি ব্যাংকের ডিপোজিট বেড়েছে দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আমাদের লস ব্রাঞ্চের সংখ্যা কমেছে ১৪০টি। আমাদের ফরেন রেমিট্যান্সে আমরা যুগান্তকারী পারফর্ম করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ব্যাংকের একটা মিটিং হয়েছে। সেখানে এমইও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।’

গতকাল শনিবার সকালে মধুপুর উপজেলায় ব্যুরো বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মুখ্য অঞ্চল টাঙ্গাইলের শাখা ব্যবস্থাপক বৃন্দের সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কিত পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান।

তিনি আরও বলেন, লক্ষ্যহীন ব্যাংকিং আর হবে না। আমাদের টার্গেট নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা ১০০ দিনের একটা টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করলাম। এই দিনগুলোয় আমরা কৃষি ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক দেখেছে কৃষি ব্যাংক ফরেন কারেন্সি আহরণে সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকা রেখেছে। ডলার আহরণে বেশি টাকা দিয়ে তা আহরণ করা হয়নি। তার অন্যতম কারণ হলো আমাদের ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভালো কাজের জন্য সম্ভব হয়েছে। আমরা কিন্তু সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার দিতে পেরেছি।

তিনি বলেন, কৃষি ব্যাংকের বেশ কিছ– অপবাদ ছিল। এটা নিয়ে অনেকের আপত্তি ছিল। এটা জানার পর বিষয়টা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। আমরা কিন্তু সেটি নিরাময় করার চেষ্টা করছি। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কর্মপরিবেশ। আমাদের কাজের সময় অন্যান্য ব্যাংকের মতোই থাকা উচিত। কিন্তু দেখা যায়, দুপুরের খাবার সময়ে আমাদের কৃষি ব্যাংকের সার্ভিসে বিশাল একটা ছন্দপতন হয়। দুপুরে কৃষি ব্যাংকের শাখাগুলোয় প্রবেশ করলে অনেক গ্রাহক বোঝে না, এটা ব্যাংক নাকি বাসা। বিভিন্ন শাখায় দুপুরে রান্নাবান্না হয়। একথা সত্যি কিনা জানি না। যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা সংশোধন করবেন।

সভায় টাঙ্গাইল উত্তর মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আ ন ম বজলুল করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোহা. খালেদুজ্জামান, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক আশরাজ্জামান, ভিজিলেন্স স্কোয়াড বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন শাখা ম্যানেজারদের সঙ্গে ঋণ সুবিধার বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।