সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকার একটি প্রতিষ্ঠান ফেয়ার পলি প্যাক লিমিটেড। ব্যবসার প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটি ঋণ সুবিধা গ্রহণ করে কৃষি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে। প্রথম দিকে ঋণের পাওনা পরিশোধ নিয়মিত হলেও পরে তা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে খেলাপিতে পরিণত হয় এ ঋণ। প্রতিষ্ঠানটির কাছে কৃষি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার পাওনা ১৪ কোটি ২২ লাখ টাকা।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক এম এম কাদের চৌধুরীর মালিকানাধীন ফেয়ার পলি প্যাক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি পোশাক খাতের অ্যাক্সেসরিজ পণ্য উৎপাদন করে। খেলাপিতে পরিণত আগে ব্যাংকের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার তাগাদা দেয়া হলেও পাওনাদাররা তেমন আগ্রহ দেখায়নি। এতে খেলাপিতে পরিণত হয় কোম্পানিটি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কৃষি ব্যাংক। এর মধ্যে কালুরঘাট শিল্পাঞ্চল ও কর্ণফুলীর ইছানগরের মোট শূন্য দশমিক ৫৭৫৬ একর জমি আছে, যা বিক্রিতে আগামী ৫ জানুয়ারি আগ্রাবাদ শাখায় নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এতে আগ্রহী ক্রেতারা উপস্থিত হয়ে নিলাম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
অ্যাক্সেসরিজ পণ্য উৎপাদনকারী মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) সূত্রে জানা যায়, ফেয়ার পলি প্যাক লিমিটেড সংগঠনটির তালিকাভুক্ত সদস্য প্রতিষ্ঠান, যার সদস্য নং ১১৬৪। প্রতিষ্ঠানটি প্রিন্টেড পলি ব্যাগ ও বিওপিপি ব্যাগ উৎপাদন করে। প্রতিষ্ঠানটির সদস্যপদ এখনও সক্রিয় আছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।
খেলাপি ঋণ ও বর্তমান ব্যবসায়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ফেয়ার পলি প্যাক লিমিটেডের অধ্যাপক এমএম কাদের চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কৃষি ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন শেয়ার বিজকে বলেন, ফেয়ার পলি প্যাক লিমিটেডের মালিক পক্ষের পাওনা পরিশোধে তেমন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কাছে খেলাপি পাওনা ১৪ কোটি ২২ লাখ ৮১ হাজার ৩৮৭ টাকা। আর এ পাওনা আদায়ে নিলামসহ আইনগত সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এছাড়া তাদের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নেওয়া ঋণও খেলাপির পথে আছে।
