কৃষ্ণসাগরের বন্দর ছাড়ল ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: কৃষ্ণসাগরের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর চোরনোমোরস্ক থেকে শস্য নিয়ে ইউক্রেনের একটি জাহাজ রওনা করেছে। ওই পথে চলাচলকারী বেসামরিক জাহাজকে সম্ভাব্য সামরিক হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে বলে রাশিয়ার হুমকির পরও এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কিয়েভ। খবর: ফ্রান্স২৪।

জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন থেকে সমুদ্রপথে রপ্তানির অনুমতি দিয়ে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। গত গ্রীষ্মে রাশিয়া চুক্তি থেকে সরে আসে এবং বেসামরিক জাহাজের ওপর হামলার হুমকি দেয়। এমন অবস্থায় কৃষ্ণসাগরে নতুন একটি সমুদ্রপথে রপ্তানির উদ্যোগ নেয় ইউক্রেন। নতুন ওই পথ ব্যবহার করে গত শনিবার রেজিলিয়েন্ট আফ্রিকা এবং আরোইয়াত নামের দুটি কার্গো জাহাজ ইউক্রেনের চোরনোমোরস্ক বন্দরে পৌঁছায়। জাহাজের নাবিকদের মধ্যে ইউক্রেন, তুরস্ক, আজারবাইজান ও মিসরের নাগরিকরা আছেন।

ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে, জাহাজগুলোয় পণ্য বোঝাই করে মিসর ও ইসরাইলে পাঠানো হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে ইউক্রেনের অবকাঠামোমন্ত্রী ওলেকসান্দর কুরাকভ বলেন, রেজিলিয়েন্ট আফ্রিকা নামের জাহাজটি তিন হাজার টন গম নিয়ে চোরনোমোরস্ক বন্দর ছেড়ে গেছে। এটি বসফরাস প্রণালির দিকে যাচ্ছে। কৃষ্ণসাগরে নতুন করিডর ব্যবহার করে এ জাহাজটির পাশাপাশি আরও একটি জাহাজ ইউক্রেন বন্দরে পৌঁছায়। শিগগির অপর জাহাজটিতে মালবোঝাই করে তা মিসরের উদ্দেশে পাঠানো হবে।

ইউক্রেনের তিনটি বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য চালানের বিষয়ে কিয়েভ-মস্কোর করা গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি গত জুলাইয়ে ভেস্তে যায়। এর পর থেকে ইউক্রেনের বন্দরে অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে রাশিয়া হামলা জোরদার করে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, নতুন এ পথ নিয়ে তারা আশাবাদী। তবে রাশিয়ার নৌসেনা যে কোনো সময় বেসামরিক জাহাজের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি।

এদিকে ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর জেনারেল ইন কমান্ড দাবি করেছেন, তাদের সেনাদের হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর তিনটি এলিট ব্রিগেড। এ ব্রিগেডগুলো দোনেৎস্ক অঞ্চলে মোতায়েন ছিল।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০