Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 6:56 pm

কেআর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শন নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : দেশের মাত্র চারটি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড গ্রিন শিপইয়ার্ডে রূপান্তর হয়েছে। এর একটি কেআর শিপ রি-সাইক্লিং ইয়ার্ড। এ শিপইয়ার্ডে মাঝারি আকারের একসঙ্গে তিনটি জাহাজ কাটিং করা যায়। আর বড় আকারের দুটি জাহাজ কাটা যাবে। এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার হচ্ছে সর্বাধুনিক উপকরণ ও প্রযুক্তি। এতে বিদেশি পুরোনো জাহাজ বিক্রেতারা এ ইয়ার্ডে জাহাজ বিক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। গতকাল সীতাকুণ্ডের কেআর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শনকালে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন এসব মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন বলেন, ১০ বছর আগের শিপইয়ার্ড আর বর্তমানের শিপইয়ার্ডের কর্মপরিবেশ অনেক ব্যবধান। এখন জাহাজ ভাঙায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে। বাংলাদেশের শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলো অনেক উন্নত ও পরিবেশবান্ধব।  কেআর শিপ রি-সাইক্লিং পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান। এখানে জাহাজ কাটার সব আধুনিক ব্যবস্থা আছে। আশা করছি শিগগির অন্য প্রতিষ্ঠানও সবুজ ইয়ার্ডে উন্নীত হবে। আমাদের দেশের বড় জাহাজ মালিকরা এসব গ্রিন শিপইয়ার্ডে জাহাজ বিক্রি করবেন। আর বাংলাদেশের অন্যান্য খাতের নরওয়ের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী।

এ বিষয়ে কেআর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তসলিম উদ্দিন বলেন, সব ব্যবসায় ভালো সময় ও মন্দা সময় থাকে। এখন কিছুটা মন্দা পরিস্থিতি থাকলেও জাহাজ ভাঙায় বিপুল সম্ভাবনা আছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য দেড় বছর আগে সাহস করে গিন শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে রূপান্তরের কাজ শুরু করি। এ গ্রিন শিপইয়ার্ডের কাজে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। কয়েকটি উন্নত দেশের প্রতিনিধি আমাদের ইয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বেড়েছে।

গতকাল দুপুরে কেআর শিপ রি-সাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শনের সময় রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেনের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ শিপব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের, মাস্টার স্টিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মাস্টার আবুল কাশেম, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিকু, আরেফিন এন্টারপ্রাইজের পরিচালক হোসাইনুল আরেফিন প্রমুখ।