নিজস্ব প্রতিবেদক : নিত্যপ্রয়োজনীয় ১৭ পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) মহাব্যবস্থাপক আবু ফারাহ মো. নাছের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০-এর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। পণ্যগুলো হলো ধান, চাল, গম, চিনি, ভুট্টা, সার, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা ও তুষ-খুদ-কুঁড়া। এ ১৭টি পণ্যের উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রদান, নবায়ন ও বিতরণকালে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি না, তা তদারকি করার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয় যে নির্ধারিত এ ১৭টি পণ্য প্যাকেটজাতকরণে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংকঋণ সুবিধা প্রদান করা হবে না। তাছাড়া, প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর এ-সংক্রান্ত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে দেশে পাটের ব্যবহার বাড়বে। পাটের ব্যবহার বাড়লে খুব দ্রুতই পাটের সোনালি সুদিন ফিরে আসবে।
এদিকে ১৭টি পণ্য বিপণনে পাটজাত ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গতকাল থেকে অভিযানে নেমেছে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়। ২২ মে পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
উল্লেখ্য, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০-এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে গত ৯ এপ্রিল আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে উল্লিখিত পণ্যগুলোর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার শর্তারোপ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া পাটশিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবাগ করা, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচারণার লক্ষে ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, পাট পণ্যের বাংলাদেশ’ সেøøাগান নিয়ে এ বছর প্রথমবারের মতো ৬ মার্চকে জাতীয় পাট দিবস ঘোষণা করে দেশে পাট দিবস উদ্যাপিত হয়।