ক্রীড়া প্রতিবেদক : আগামী মাসের শেষদিকে পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলতে রাজি বাংলাদেশ। কিন্তু দেশটিতে কোনোভাবেই টেস্ট খেলতে চাইছে না টিম টাইগার্স। ব্যাপারটি এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে পিসিবিকে, যা শুনে মোটেও খুশি নয় পাকিস্তানি ক্রিকেট বোর্ড। যে কারণে এখনও দুই বোর্ডের মধ্যে চলছে কথা চালাচালি।
পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্ট খেলতে না চাওয়ায় এ সিরিজ আদৌও হবে কি না সন্দেহ রয়েছে। দু’দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন, ‘সিরিজ হচ্ছে না, বা হচ্ছেই এমন কোনো সিদ্ধান্তই এখন পর্যন্ত স্থির হয়নি। কিছুই বলা যাচ্ছে না। আমরা আমাদের যথাযথ যুক্তিগুলো পিসিবিকে জানিয়েছি এবং জানাচ্ছি। কিন্তু তারা কিছুতেই বুঝতে পারছে না। আমাদের কাছে যা বড় সমস্যার বিষয় মনে হচ্ছে, সেটাকে পিসিবি সমস্যা হিসেবে মনেই করছে না!’
টি-টোয়েন্টি খেলতে পারলে কেন পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে চাইছে না বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নই কিন্তু বেশ আগে থেকেই উঠেছে ক্রিকেট মহলে। গতকাল উত্তরটা অবশ্য নিজামউদ্দিন দিয়েছেন এভাবে, মাত্র কয়েকদিনের সিরিজ টি-টোয়েন্টি। কিন্তু দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য পাকিস্তানে অনেক লম্বা সময় ধরে থাকতে হবে টাইগারদের। অন্তত আরও ১৫ দিন বেশি থাকার প্রয়োজন হবে। লম্বা সময় ধরে অনিরাপদ কোনো দেশে বিসিবি তাদের ক্রিকেটারদের পাঠাতে রাজি নয়। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি হয়তো এক মাঠে তেমন কোনো ব্যবধান ছাড়া টানা তিন দিনেই শেষ করা সম্ভব। কিন্তু দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দুটি ভেন্যুতে খেলতে হবে। এক শহর থেকে আরেক শহরে ভ্রমণের বিষয়টা থাকছে। এমন ভ্রমণে নিরাপত্তাও অনেক বড় ইস্যু।
বিসিবি অবশ্য আগেই জানিয়েছে পাকিস্তান সিরিজের জন্য দলের কোনো ক্রিকেটারকে বাধ্য করা হবে না। এরই মধ্যে খবর বেরিয়েছে সিনিয়র বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার পাকিস্তান সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছেন। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত দু’দেশের বোর্ড কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
মন্তব্য