Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 6:56 pm

কেরানীগঞ্জে আগুনে দগ্ধ ছয়জনের সবাই মারা গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন গত ৩০ সেপ্টেম্বর। তাদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গ্যাসের চুলা থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধদের মধ্যে একে একে পাঁচজনই মারা যান। বেঁচে ছিল শুধুই মো. ইয়াছিন (১২) নামে এক কিশোর। সেও আজ বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেছে। ফলে এ দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে কেউই বেঁচে রইল না।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ইয়াছিন।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন জানান, আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে ইয়াছিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। ইয়াছিন মারা যাওয়ায় দগ্ধদের মধ্যে আর কেউ বেঁচে রইল না।

এর আগে মৃত অন্য পাঁচজন হলেন  মরিয়ম (৮), শাহাদাত হোসেন (২৫), বেগম (৬০), ইদুনী বেগম (৫০), সোনিয়া আক্তার (২৬)।

মৃত ইয়াছিনের বাবার নাম আব্দুর রশিদ। তিনি পেশায় রিকশাচালক। ইয়াছিনের আরেক ভাই রয়েছে। আর্থিক অনটনের সংসারে সন্তান দগ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসা খরচ টানতে হিমশিম অবস্থা রশিদের। তবে শতচেষ্টায়ও সন্তানকে বাঁচাতে পারলেন না রিকশাচালক আব্দুর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘আমি রিকশা চালিয়ে খাই। অনেক কষ্টে ছেলে দুটোকে বড় করছি। ও (ইয়াছিন) আজকে আমাদের রেখে চলে গেল। পুড়ে যাওয়ার পর অনেক পয়সা খরচ হয়েছে। তবুও সন্তানটাকে বাঁচাতে পারলাম না।’