শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কেরালায় বেড়েছে প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ। প্রদেশটিতে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি মিলেছে। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনকেই হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
এদিকে ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সব স্কুল-কলেজে রোববার পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে প্রদেশটির কোজিকোড জেলায়। সেখানেই নিপাহর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। জেলাটিতে বেশ কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তাদের শরীরে নিপাহ আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দেশটির স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই ভাইরাসের এখনও কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। ফলে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। শুধু তাই-ই নয়, যারা ওই সব রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। তাদেরও কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
এর আগে ভারতে ১৯৯৯ সালে নিপাহর সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। মাঝে এই ভাইরাস খুব বেশি দেখা যায়নি। কিছুদিন ধরে কেরালায় নতুন করে এর সংক্রমণ শুরু হয়েছে।
অ্যাসিম্পটোমেটিক রোগী দেখা যেতে পারে, যাদের শরীরে নিপাহর সংক্রমণ থাকলেও তাদের শরীরে কোনো সিম্পটম নেই। এ কারণেই র্যানডম পরীক্ষার কথা বারবার বলা হচ্ছে।
ফুসফুসে সংক্রমণ। বহু ক্ষেত্রেই নিপাহর মূল সিম্পটম হলো ফুসফুসে সংক্রমণ। এর ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। জ্বর আসতে পারে। সঙ্গে মাথাব্যথা এবং গা, হাত ও পায়েও ব্যথা হতে পারে।
নিপাহর থেকে এনকেফেলাইটিস হতে পারে। এনকেফেলাইটিসের লাস্ট স্টেজ পর্যন্ত হতে পারে নিপাহর প্রভাবে। যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের দুজনেরই এনকেফেলাইটিস হয়েছিল।
নিপাহ ছড়ার সঙ্গে সঙ্গে রীতিমতো কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। কোজিকোডে যেহেতু এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি, ফলে অঘোষিত লকডাউন চালু করা হয়েছে সেখানে। গোটা কেরালা জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খাবার থেকে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। একজন থেকে আরেকজনের শরীরেও ছড়াতে পারে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে।
কেরালার অন্যান্য জেলায় এবং ভারতের অন্য রাজ্যে এখন পর্যন্ত এই রোগের প্রাদুর্ভাব সেভাবে দেখা দেয়নি।