শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় তীব্র বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭ জনে। গত এক শতাব্দীতে এটিই রাজ্যটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অন্তত দেড় লাখ মানুষ। খবর বিবিসি।
কেরালায় গত ৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্কুল, কলেজ ও সরকারি দফতর আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভি।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই ভ‚মিধসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বন্যার ফলে চার দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে কোচি বিমানবন্দর। গত বুধবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে উড়োজাহাজ পরিষেবা। রানওয়ে পুরোপুরি পানির নিচে। ফলে কোনো উড়োজাহাজ ওঠানামা করতে পারছে না। বেশকিছু বিমানকে কোঝিকোড় ও তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর দিয়ে অবতরণ করানো হচ্ছে, তবে তা সংখ্যায় বেশ কম। রেললাইনের অবস্থাও একই রকম।
বানভাসি মানুষের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যারা নিজেদের জমি ও ঘর দুটোই হারিয়েছেন, তাদের মোট ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ছয় লাখ রুপি জমি কেনার এবং চার লাখ রুপি রয়েছে বাড়ি বানানোর জন্য। বন্যার্তদের মধ্যে যাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে গেছে তাদের বিনা মূল্যে নথি তৈরির আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি। দলীয়ভাবেও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস।
কেরালায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭
