নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ১২ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে চার কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ২২ কোটি সাত লাখ সাত হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৯০ শতাংশ বা চার টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩২ টাকায় হাতবদল হয়, যার মোট মূল্য ছিল পাঁচ কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ২৩৪ টাকা ৬০ পয়সায়। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৪৪ টাকায় হাত বদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১৩৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২৬৬ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
‘বি’ ক্যাটেগরির কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯১ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ৫৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ পয়সা ও ১১ টাকা ৪৫ পয়সা লোকসান। আর আলোচিত সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন চার কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৪৯ লাখ দুই হাজার ৫৩০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকের কাছে ২৪ দশমিক ছয় শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক তিন দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ৭২ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু জুট স্টাফলার্স লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১২ কোটি ৬০ লাখ ৫৮ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি দুই লাখ ৯১ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ এক হাজার ৭৭৫ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ৭৭৭ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৭২ হাজার ৬১৮টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৮৫৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১২ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন এক হাজার ৬৫৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৭৭৯ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬৪১ টাকা ১০ পয়সা থেকে পাঁচ হাজার ৬৩৪ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৩৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ৭৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৩০ পয়সা।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫৭ পয়সা ও এনএভি ৫২ টাকা ২৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা।
১৯৮২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি সাত লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ২০ লাখ ৭০ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪২ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫০ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১১ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে হয়েছে ৫৮ কোটি ৬২ লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ১৮ শতাংশ বা ১৮ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৮৭০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮৭০ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ১০ হাজার ৯১২টি শেয়ার তিন হাজার ৮০৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮৩৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৭৭ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৭৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে চার হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ৪১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ টাকা ১৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাড়িয়েছে ৩১৭ টাকা ৯৩ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন পাঁচ কোটি চার লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ৮০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস করেছে ৫২ টাকা ৪৭ পয়সা ও শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫০৮ টাকা চার পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে দুই কোটি ৮৮ লাখ ৬০ পয়সা।
কোম্পানির মোট ৫০ লাখ ৪৯ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে জেমিনি সি ফুড লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার।
আর ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ্ ফান্ড। আলোচ্য সপ্তাহে ফান্ডটির প্রতিদিন ৫৭ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৮৯ লাখ ২৬ হাজার টাকার ইউনিট।
সাপ্তাহিক বাজার
কে অ্যান্ড কিউয়ের দর বেড়েছে ২২ দশমিক ১২ শতাংশ
