শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ইমরান খানের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ তার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়তে পারে। তবে তার বিরুদ্ধে শুধু দুর্নীতির অভিযোগ নয়, প্রায় আট মাস জেলও খেটেছেন তিনি। খবর: জিও টিভি।
রাজনৈতিক সাফল্য পেতে বছরের পর বছর ধরে ইমরান লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। ২০১৮ সালে তিনি সফল হন। নিজেকে একজন ‘ক্যারিশমাটিক’ রাজনীতিবিদে রূপান্তর করেন। সেই তিনিই পাকিস্তানের প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনাস্থা ভোটে হেরে যান। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগ করেন বিরোধীরা।
এই বিরোধীদের মধ্যে অন্যতম শাহবাজ শরিফ। ব্যক্তি ইমরানের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেননি বিরোধীরা। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এখন সব থেকে এগিয়ে থাকা শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে শুধু যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তা নয়, তিনি প্রায় আট মাস জেল খেটেছেন।
পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন শাখা শাহবাজের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির দুটি মামলা করে। সেই মামলার তদন্তে একধিক আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। লন্ডনে শাহবাজ বেনামে একাধিক ফ্ল্যাট ও সম্পত্তি কেনেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পরে সেই সম্পত্তি চড়া দামে বিক্রি করেন। বিক্রির টাকা তিনি ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন।
অনিল মুসারাত নামের এক ব্যক্তির মধ্যস্থতায় শাহবাজ লন্ডনে একাধিক সম্পত্তি কেনেন। জুলফিকার আহমেদ ও অনিল মুসারাত শাহবাজ শরিফের অর্থিক তছরুপের সাক্ষী। তার ছেলে হামজা শরিফের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে আনিল মুসারাতের কেনা লন্ডনের একটি বিলাসবহুল বাড়িতে হামজা শরিফের পরিবার বসবাস করছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ছেলেসহ গ্রেপ্তার হন শাহবাজ। আট মাস পরে তিনি মুক্তি পান।