প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১০নং তুলশীবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্কুলটির একতলা ভবনে মাত্র তিনটি কক্ষ রয়েছে, যার মধ্যে একটি অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বাকি দুই কক্ষে পাঁচটি শ্রেণির ক্লাসের পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষকদের দুই শিফটে ক্লাস পরিচালনার পরও ১৮৪ শিক্ষার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় স্কুলমাঠে একটি অস্থায়ী টিনের ঘর তুলে সেখানে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। কিন্তু পাকাভবন ছেড়ে টিনের ঘরের ক্লাসে বসতে চায় না অধিকাংশ শিক্ষার্থী। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিমল কৃষ্ণ বাড়ৈ বলেন, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে আমাদের স্কুল ভবনটি অনুমোদিত হয়। তিন কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয় বুঝে তখনই আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করি। কিন্তু পরে মহামারি কভিড পরিস্থিতিতে বিষয়টি আর অগ্রসর হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শুধু ভবন সংকটই নয়, সেইসঙ্গে শিক্ষক সংকটও রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৮৪ জনশিক্ষার্থী আছে। সেখানে আমরা মাত্র তিন শিক্ষক কর্মরত। আমাদের আরও দুটি শিক্ষকের পদ শূন্য।
এই বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমি ১০নং তুলশীবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন সংকটের বিয়য়টি জানতে পারলাম। আমি অতিসত্বর বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ভবনটি যাতে বহুতল ভবনে রূপান্তরর করা যায়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠাব। আশা করি, শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
