নিজস্ব প্রতিবেদক: রোহিঙ্গাদের কেউই বাংলাদেশে ভোটার হতে পারেননি বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনো রোহিঙ্গাই ন্যাশনাল আইডি (এনআইডি) কার্ড পাননি। বাংলাদেশে আসা প্রায় ১১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গার আঙুলের ছাপ ও পরিচিতি-সংবলিত সার্ভার কমিশনের কাছে রয়েছে। ফলে তাদের কেউ চাইলেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। গতকাল সোমবার বিকালে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
এনআইডির ডিজি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার যে তথ্য এসেছে, সেটি মূলত তারা চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কেউই ভোটার হতে পারেননি। কারণ ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বিশেষ কার্যক্রম শেষ করে সার্ভারে তথ্য আপলোড করা হয়। এরপর ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচিং করে যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য, কেবল তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে কারও তথ্য অসম্পূর্ণ থাকলে সেটি লক করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, লাকী বেগম নামের একজন স্মার্টকার্ড আনতে গেলে মূল সার্ভার থেকে ধরা পড়ে যে, তার এনআইডি সঠিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদে চিহ্নিত হয়েছে, তাকে বৈধ এনআইডি দেওয়া হয়নি। তাই তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। এরপর আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করি। তাদের মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয়েছে কি না, এসব দেখি। এতে ৪৬ জনের ডেটা অসম্পূর্ণ পাওয়া যায়। কারও ফিঙ্গার প্রিন্ট ঠিকমতো নেই, কারও ফরম সঠিকভাবে আপলোড করা হয়নিÑএটা আমরাই চিহ্নিত করেছি।
রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক হয়েছে বলে জানিয়ে এনআইডি ডিজি বলেন, কোনো তথ্য আপলোড হলে আমরা চেক করি। কোনো তথ্য রোহিঙ্গা সার্ভারের সঙ্গে মিলে গেলে সার্ভারে আর এন্ট্রি করা যাবে না। স্টেপ বাই স্টেপ ভোটার তালিকায় ৪৬ জনের যে ফাইল আপলোড হয়েছে, সেটি অসম্পূর্ণ। চেষ্টা তো করছেই, কিন্তু সফল হতে পারবে না।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান জানান, কক্সবাজারের আশেপাশের ৩২টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে গঠিত বিশেষ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে বারবার সতর্ক করেছি, যেন বিদেশি বা রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকায় আসতে না পারেন। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
কোনো রোহিঙ্গাই এনআইডি পায়নি: ইসি ডিজি
