কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) মোকাবেলায় হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম ও এআই সমাধান পাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের পাশাপাশি দূরবর্তী যোগাযোগ ও কোভিড-১৯ শনাক্তে কার্যকর শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে পারবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেমটি ফোর-কে ভিডিও প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে নানা ক্ষেত্র ও প্রেক্ষাপটে বুদ্ধিবৃত্তিক সমাধান দিতে সক্ষম। এর সাহায্যে করোনা ভাইরাসের মতো মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। দূর থেকে পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া সম্ভব। এছাড়া এআইভিত্তিক স্ক্রিনিং সমাধান ও পরিমাণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতি ও সেবা হাসপাতালগুলোর রোগ নির্ণয় দক্ষতাকে আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে।
সম্প্রতি রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের কাছে ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম ও এআই সমাধান হস্তান্তর করেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী নূর, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ ভিপি পিটারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় হুয়াওয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক সমাধানগুলো কঠিন এ সময়ে দক্ষভাবে অনেক বিষয় সামাল দিতে চীনকে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে আমরাও এগুলো কাজে লাগাতে পারি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় হুয়াওয়ের মতো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা অসাধারণ।
ঝাং ঝেংজুন বলেন, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে কর্মীদের রক্ষা করতে ইতোমধ্যে কঠিন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় হুয়াওয়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
সুস্বাস্থ্য ডেস্ক