কোম্পানিগুলো সেভাবে পারদর্শিতা দেখাতে পারছে না

দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সিনিয়র নিউজ কনসালট্যান্ট রায়হান এম চৌধুরী বলেছেন আইপিও’র মাধ্যমে যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসছে ওই সব কোম্পানিগুলো সেভাবে পারদর্শিতা দেখাতে পারছে না। আবার যে উদ্দেশ্যে টাকা উত্তোলন করা হয়, অর্থাৎ ওই টাকা সঠিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে ওই সব কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটি বাজারের জন্য ইতিবাচক নয় বরং নেতিবাচক। আসলে এ বিষয়গুলো কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে।
গতকাল হাসিব হাসানের সঞ্চালনায় এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মো. ফোরকান উদ্দিন এফসিএ।
রায়হান এম চৌধুরী বলেন বিষয়গুলো প্রতিরোধ করা না গেলে বাজার গতিশীল রাখা যাবে না। এ বিষয়ে ডিএসই, সিএসই এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কতটা স্বচ্ছ ভূমিকা পালন করে সেটাই দেখার বিষয়। তবে বাজারের স্বার্থে ডিএসই, সিএসই ও বিএসইসিকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে।
আর পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন থাকবে এজন্য বিনিয়োগকারীকে বাজার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে। অর্থাৎ বাজার সম্পর্কে যার যত বেশি ধারণা থাকবে ওইসব বিনিয়োগকারীরা তত বেশি লাভবান হবেন। যদি বাজার সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইনটেলিজেন্স না থাকে সেক্ষেত্রে ওই সব বিনিয়োগকারীরা টিকে থাকতে পারবে না।
অন্যদিকে মো. ফোরকান উদ্দিন বলেন বছরের শুরুতে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দেখা গেছে। কিন্তু এখন সূচকের সঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন কমে যাচ্ছে কারণ ইতোমধ্যে বেশকিছু আইপিও এসেছে যার বেশিরভাগ স্বল্প মূলধনি। অর্থাৎ তেমন ভালো মানের নয়। যে কারণে ওইসব কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই। আবার সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে বিনিয়োগকারীরা সেভাবে লাভবান হচ্ছে না। তাই নতুন করে বিনিয়োগকারীরা ফান্ড নিয়ে আসছে না। মাঝে বিদেশি বিনিয়োগকারী বেড়েছিল কিন্তু এখন সেভাবে বাড়ছে না। আশার কথা হচ্ছে, যেহেতু বিশ্বে দেশের প্রতি ইতিবাচক ধারণা রয়েছে। তাই সামনের দিনগুলোতে বাজারের ইতিবাচক ধারা বজায় থাকবে এবং বিদেশি যে বিনিয়োগ আসার কথা অর্থাৎ সেগুলো আশার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিদেশি বিনিয়োগ পর্যাপ্ত আসতে হবে এবং দেশ থেকে যাতে টাকা পাচার না হতে পারে। তাই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ঠিক রেখে বিনিয়োগ সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে নমনীয় হতে হবে। যদি এটি করা যায় সেক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। অন্যদিকে দেশ থেকে টাকা পাচার রোধ করা যাবে। ফলে দেশের বাজার সম্প্রসারিত হবে এবং নতুন বিনিয়োগকারীরা বাজারে আসবে। সেক্ষেত্রে সেকেন্ডারি মার্কেট শক্তিশালী করতে হবে। যদি সেটি না করা যায় তাহলে এক সময়ে প্রাইমারি মার্কেটও মুখ ধুবড়ে পড়বে। আবার বিনিয়োগকারীর বাজারের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হলে বাজার গতিশীল রাখতে হবে, স্থিতিশীল নয়। যদি বাজার গতিশীল থাকে সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী আসবে। আর বাজার গতিশীল রাখার জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, বিএসইসি, সিএসই আর তেমন দায়িত্ব রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বিশেষ করে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্স্যুরেন্স প্রভৃতি।

শ্রুতিলিখন: শিপন আহমেদ

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০