শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫ লাখ। কিন্তু রিটার্ন জমা দেয় তার অর্ধেক। বাকিরা হয় হিসাব দেয় তাদের কোনো মুনাফা হয়নি, না হয় বলে ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানই আসলে অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে সন্দেহ নরেন্দ্র মোদি সরকারের। এগুলোর বিরুদ্ধে এবার তাই কোমর বেঁধে অভিযানে নামতেই বাজেটে কোম্পানি কর আদায়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। খবর আনন্দবাজার।
বাজেটের পর গত সোমবার বণিক সভাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ব্যবসায়ীদের সামনে বাজেটের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনায় বসেন জেটলি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অর্থ সচিব হাসমুখ আঢিয়া বলেন, ‘জিএসটি ও নোট বাতিলের ফলে করদাতার সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু চাকরিজীবীরা যে রকম সৎভাবে কর পরিশোধ করেন, ব্যবসায়ীদের একাংশ সে পথে হাঁটেন না। এ বৈষম্য দূর করার চেষ্টা হচ্ছে।’
শিল্পোদ্যোক্তাদের দাবি ছিল, কোম্পানি কর সব সংস্থার জন্য ২৫ শতাংশ হোক। জেটলি বাজেটে তা ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছেন ঠিকই; কিন্তু বছরে ব্যবসা ২৫০ কোটি রুপি পর্যন্ত হলে তবেই এ সুবিধা পাবেন ব্যবসায়ীরা।
জেটলির যুক্তি, ‘৯৯ শতাংশ সংস্থাই এখন ২৫ শতাংশ করের আওতায়। মাত্র সাত হাজারকে দিতে হবে ৩০ শতাংশ। কিন্তু নানা ধরনের ছাড় ধরে বাস্তবে করের বোঝা গড়ে ২২-২৩ শতাংশ।’
ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, সব ছাড় তুলে নিয়ে কোম্পানি কর কমানো হোক। জেটলির যুক্তি, অনেক ছাড় ৫-১০ বছরের জন্য ঘোষণা করা আছে। সেগুলো আচমকা তুলে দিলে শিল্পই মুশকিলে পড়বে। প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যান সুশীল চন্দ্রের হিসাব, এখনই সবার কাছে ২৫ শতাংশ কর নিলে সরকারেরও প্রায় ৬০ হাজার কোটি রুপি রাজস্ব ক্ষতি হতো।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এমনিতেই নোট বাতিল ও জিএসটির ধাক্কায় তারা বেসামাল। তার ওপর চড়া কোম্পানি করের বোঝা বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় তাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।