এম. নাসিমুল হাই বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে সম্পন্ন করেছেন চার্টার্ড সেক্রেটারি কোর্স। ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশের (আইসিএসবি) তিনি একজন ফেলো সদস্য। চাকরির পাশাপাশি কোম্পানি আইন বিষয়ে আইসিএসবি-তে পাঠদান করছেন
শেয়ার বিজ: ক্যারিয়ার গড়ার পেছনের গল্প দিয়েই শুরু করতে চাই…
নাসিমুল হাই: আমার ক্যারিয়ারের শুরু কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশের একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার (ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) হিসেবে। পরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকায় যোগ দিই। সবশেষে হেড অব মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে ছিলাম। আমি আইসিএসবির প্রথম ব্যাচের ছাত্র। ২০০০ সালে চার্টার্ড সেক্রেটারি কোর্স সম্পন্ন করার পর কোম্পানি সচিব হিসেবে করপোরেট ব্যবস্থাপনায় কাজ শুরু করি। কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানিতেও ইতোমধ্যে কাজ করেছি। ২০০৯ সালে বসুন্ধরা গ্রুপের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন শুরু। এখানে আমার শিক্ষানবিশি কাল শেষ হওয়ার অনেক আগেই কোম্পানি সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে দায়িত্ব পালন করে চলেছি।
শেয়ার বিজ: কোম্পানির সঙ্গে সচিবের সম্পর্কটা কেমন?
নাসিমুল হাই: একটি কোম্পানির সঙ্গে তার কোম্পানি সচিবের সম্পর্ক সম্পূর্ণ পেশাগত। তিনি শুধু একজন বেতনভুক্ত কর্মকর্তাই নন, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনারও অংশ। তিনি কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডার-বিনিয়োগকারী এবং কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ-ব্যবস্থাপনা এ দুই দূরবর্তী অংশের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন। তিনি তার কোম্পানির প্রধান আইন পরিপালনকারী কর্মকর্তা। তার দ্বারা চূড়ান্ত উপকৃত হয় কোম্পানি এবং এর সাধারণ শেয়ারহোল্ডার-বিনিয়োগকারীরা। তিনি একজন ট্রাস্টিও; কারণ তিনি বিশ্বাসের অবস্থানে থাকেন। এছাড়া করপোরেট সুশাসন সঠিকভাবে প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত করার দিকটির সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন একজন কোম্পানি সচিব। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের কাজ, সার্বিক নীতিনির্র্ধারণী বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের কাজ পরিচালনা ও কোম্পানির অভ্যন্তরে এ দুইয়ের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন একজন কোম্পানি সচিব।
শেয়ার বিজ: দেশে বা বিদেশে এ পেশার সম্ভাবনা কেমন?
নাসিমুল হাই: এটা অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দায়িত্বপূর্ণ পেশা। ইংল্যান্ডে এ পেশার জন্ম ১৮৯১ সালে, আমেরিকায় ১৯৪৬ সালে, ভারতে ১৯৬০ ও পাকিস্তানে ১৯৭৩ সালে। আর এদেশে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশের যাত্রা শুরু ১৯৯৭ সালে। সে হিসেবে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। ভারতে এ ইনস্টিটিউটের সদস্যসংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। আর আমাদের ইনস্টিটিউটের সদস্যসংখ্যা প্রায় সাড়ে চারশ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি। অথচ বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা কয়েক লাখ। কোম্পানিগুলোতে করপোরেট সুশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়ে যত্নশীল হলে কোম্পানি সচিব পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পেশাজীবীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। করপোরেট সুশাসন সঠিকভাবে প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত করার দিকটিতে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হলে অপেক্ষাকৃত বড় কোম্পানিগুলোতে কোম্পানি সচিব নিয়োগ করা হলে বিরাট কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। উল্লেখ্য, ভারতে পরিশোধিত মূলধনের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোম্পানিতে কোম্পানি সচিব নিয়োগের বিশেষ বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমাদের দেশে সে বিষয়টি এখনও বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। যদি আমাদের দেশে উচ্চ পরিশোধিত মূলধনের ভিত্তিতে কোম্পানি সচিব নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হয়, তাহলে বাংলাদেশে এ ধরনের কোম্পানির সংখ্যা পাওয়া যাবে কয়েক হাজার। এক্ষেত্রে বিরাট কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরেও রয়েছে অনেক সুযোগ। ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ৫০ জন চার্টার্ড সেক্রেটারি দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়েছেন।
শেয়ার বিজ: এ পেশার গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু বলবেন কি?
নাসিমুল হাই: প্রতিটি কোম্পানিতে যদি করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান, তাহলে কোম্পানি সচিবের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। কোম্পানির জš§লগ্ন থেকে অবসায়ন পর্যন্ত সময়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোম্পানি সচিবের দৃশ্যমান প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কোম্পানি সচিব কোম্পানির একজন কি-পারসোনাল। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত করপোরেট গভর্ন্যান্সে একটি কোম্পানিতে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তার মধ্যে কোম্পানি সচিব একজন। তিনি কোম্পানির প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার। সুতরাং এ পেশার গুরুত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না।
শেয়ার বিজ: তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে কোম্পানি সচিবের গুরুত্ব কতটুকু?
নাসিমুল হাই: তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে কোম্পানি সচিব রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যে কোনো কোম্পানিতে তিনজন পৃথক কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে করপোরেট গভর্ন্যান্স গাইডলাইনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা প্রতিটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য প্রতিপালন বাধ্যতামূলক। তালিকাভুক্ত হয়নি এমন কোম্পানিগুলোতে এর প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি। কারণ একটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য যে দীর্ঘ জটিল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, সেক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো সেবা দিতে পারেন একজন কোম্পানি সচিব। তাছাড়া কমপ্লায়েন্স যদি ভালোভাবে অনুসরণ করা না হয়, তাহলে তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর একবার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে গেলে ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে অনেক সমস্যা সমাধান ও নির্দেশনা প্রতিপালন করে আসতে হয়। একটি কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য কয়েক বছর আগে থেকেই নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করে তবেই আসতে হয়। তাকে কোম্পানির পাঁচ বছরের তথ্য-উপাত্ত দিতে হয়। তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বেশ সময়ও প্রয়োজন হয়। প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে যদি কোনো কোম্পানিতে দক্ষ কোম্পানি সচিব নিয়োগ করা হয়, তাহলে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই কমপ্লায়েন্স ইস্যুগুলো সঠিকভাবে প্রতিপালন করা যাবে।
শেয়ার বিজ: যারা এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের উদ্দেশে কী বলবেন?
নাসিমুল হাই: অবশ্যই। আমি বলবো, যারা জীবনে উন্নতিলাভে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি একটি সময়োপযোগী ও চ্যালেঞ্জিং পেশা। যারা পরিশ্রমী ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে আগ্রহী, তাদের এ পেশায় স্বাগত জানাই। কোনো কোম্পানির উদ্দেশ্য কেবল মুনাফা অর্জন নয়, যদিও মুনাফা হলো চূড়ান্ত ইতিবাচক আর্থিক ফলাফল। আপনি যদি ভালো পণ্য ও সেবা দেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় দক্ষতা দেখাতে পারেন, ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেন, তাহলে মুনাফা অর্জন হবেই। একইভাবে আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ারে উন্নতিলাভে আগ্রহী হন, তাহলে ভালোভাবে কোনো পেশাগত ডিগ্রি গ্রহণ করতে হবে, পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনি অবশ্যই সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে পারবেন।
শেয়ার বিজ: দায়িত্ব পালনে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে আপনি কোন বিষয়কে মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেন?
নাসিমুল হাই: ইতিবাচক মনোভাবকেই আমি বেশি প্রাধান্য দিই। কারণ যে কোনো ধরনের মানুষ আপনার কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার বা সদস্য হতে পারেন। বিভিন্ন রেগুলেটরের সঙ্গে পেশাজীবীদের কাজ করতে হয়। সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আপনার ইতিবাচক চিন্তার অধিকারী হওয়া বাঞ্ছনীয়।
শেয়ার বিজ: একজন সফল কোম্পানি সচিবের কী কী গুণ থাকা জরুরি?
নাসিমুল হাই: সফল কোম্পানি সচিবের পেশাগত শিক্ষা ও দক্ষতা থাকতে হবে, যাবতীয় করপোরেট আইন ও নির্দেশনা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। পক্ষপাতহীন হতে হবে, ইতিবাচক চিন্তাধারা থাকতে হবে, সময়ানুবর্তিতার সঙ্গে সঙ্গে কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে।
শেয়ার বিজ: বর্তমান কর্মস্থল সম্পর্কে কিছু বলুন।
নাসিমুল হাই: ১৯৮৭ সালে ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) লিমিটেড নামে একটি আবাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যাত্রা করে বসুন্ধরা গ্রুপ। বর্তমানে এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী। বসুন্ধরা গ্রুপে বর্তমানে রয়েছে ৬৯টি কোম্পানি ও ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) লিমিটেড, মেঘনা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বসুন্ধরা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট, বসুন্ধরা পেপার মিলস, বসুন্ধরা স্টিল মিলস লিমিটেড, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস, বসুন্ধরা টেকনোলজিস, বসুন্ধরা ট্রেডিং, বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স, বসুন্ধরা শিপিং লিমিটেডসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
শেয়ার বিজ: বসুন্ধরা গ্রুপের সফলতার গল্পটা বলবেন কী?
নাসিমুল হাই: বসুন্ধরা গ্রুপ প্রায় লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আশি হাজার মানুষের ভালো মানের আবাসনের স্বপ্ন পূরণ করেছে। বসুন্ধরা গ্রুপ যেখানে প্রথম প্রকল্প শুরু করেছিল, সে এলাকার নাম ছিল জোয়ারসাহারা। প্রতি বছর জলাবদ্ধতার ফলে ফসলও ঠিকমতো হতো না। বছরে মাত্র একটি ফসল ফলতো। ফলে ওই এলাকার জমিও কেউ কিনতে চাইতো না। ওই সময় কেউ ভাবতে পারেননি সেখানে একটি আবাসন সম্ভব। আবাসিক এলাকা স্থাপন করা ছিল দূরবর্তী স্বপ্নের বিষয়। সেই অসম্ভব কাজটিই সম্ভব করেছে বসুন্ধরা। বাংলাদেশের অন্যতম বড় সিমেন্ট কোম্পানি মেঘনা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আগে আমাদের দেশ সিমেন্টে শতভাগ আমদানিনির্ভর ছিল। অবশ্য সরকারি দুটি কারখানা ছিল; কিন্তু তারা ক্রেতাসাধারণের চাহিদা পূরণে সক্ষম ছিল না। তখন ভারত-ইন্দোনেশিয়াসহ সুদূর আমেরিকা থেকেও সিমেন্ট আমদানি করা হতো। আমরা সফলভাবে সিমেন্ট কারখানাটি শুরুর পর একের পর এক ব্যক্তিপর্যায়ে সিমেন্ট কারখানা চালু হয়েছে, যা দেশের চাহিদা পূরণে সম্পূর্ণ সক্ষম। আমরা তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের ভালো হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছি। অথচ এই সিমেন্ট কারখানা করার সময় কোনো বড় ব্যাংক অর্থসহায়তাও করতে চায়নি। মোংলায় সিমেন্ট কারখানা স্থাপন করাও ছিল কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। আমাদের কোম্পানির শেয়ারও প্রথম থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার। বর্তমানে বসুন্ধরা গ্রুপে আরও কয়েকটি বড় সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। বসুন্ধরা নামেও আমাদের একটি সিমেন্ট ব্র্যান্ড এখন বাজারে আছে। বাংলাদেশে একসময় অফসেট পেপার এমনকি টিস্যুও শতভাগ আমদানি হতো। টিস্যু এদেশের সর্বস্তরের মানুষ ব্যবহার করবে আর দেশীয় ব্র্যান্ড জনপ্রিয় হবে-এটা কেউ চিন্তাও করতো না। সেখানে বসুন্ধরাই প্রথম টিস্যু কারখানা স্থাপন করে দেশীয় ব্র্যান্ড নিয়ে বাজারে আসে এবং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে টিস্যু ব্যবহারকে জনপ্রিয় করে দেশের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা টিস্যু বসুন্ধরা পেপার মিলসের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এদেশে আরও বেশকিছু পেপার ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। আজ পর্যন্ত এ দেশের পেপার সেক্টরে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে বসুন্ধরা গ্রুপ । এলপি গ্যাসের কথায় যদি আসি, বাংলাদেশে মাত্র বিশ ভাগের মতো এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। যেটা একসময় বন্ধও হয়ে যাবে। সরকার বলছে, পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। তাহলে এর বিকল্প কী হবে? আমরা নিশ্চয়ই কাঠ-কয়লার যুগে ফিরে যাবো না। সরকার হয়তো আরও পরে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপ এটা বিশ বছর আগেই ভেবে রেখেছে। বসুন্ধরা এলপি গ্যাস বাজারে এসেছে বহু আগেই। লক্ষণীয় যে, আমরা পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে না এমন এলাকায় যেমন এলপি গ্যাস সরবরাহ করছি, পাইপ লাইনের মাধ্যমে যেখানে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে না সেসব এলাকায়ও এলপি গ্যাস সরবরাহ করে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি একে সর্বজনপ্রিয় করার কাজটিও করে চলেছি। দেশের পরিবেশও রক্ষা করছি। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বাইরে থেকে আমদানি মাধ্যমে এদেশের গ্রাহকদের কাছে এলপি গ্যাস সরবরাহ করছি। এভাবে ব্যবসায়ের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বসুন্ধরা গ্রুপ তার সফলতার ধারাবাহিকতা রেখে চলেছে।
শেয়ার বিজ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নাসিমুল হাই: আপনাকেও ধন্যবাদ।
Add Comment