নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নলেজ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ। গতকাল এ নলেজ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এ সময় মন্ত্রী পার্কে নির্মাণের শেষ পর্যায়ে থাকা ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ পরিদর্শন করেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আইসিটি খাত হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। প্রকল্প এলাকাটি সিলেট শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার, বিমানবন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার এবং নতুন রেলস্টেশন থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগী। আর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে এখন খুবই উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। এই হাই-টেক পার্কে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিসহ বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ হবে; যা এ অঞ্চলের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তনে অসামান্য অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে আইরিশ ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এক একর জমিতে হোম অ্যাপ্লায়েন্স এবং ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুত করবে। এখানে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ফলে প্রায় ২০০ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া টুগেদার আইটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এই পার্কে এক একর জমিতে ফ্রিজ, কনডেনসার এবং এসির কম্প্র্রেসার প্রস্তুত করবে। প্রাথমিকভাবে তারা ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে এবং ১০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। গতকাল একই সঙ্গে এই দুটি কোম্পানিরও নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরউল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের জন্য একটি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেট হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সিলেটবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে সিলেটকে একটি প্রযুক্তি নগরী হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থানের একটি ডিজিটাল ইকোনমিক হাব হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সিলেটের এ পার্ক থেকে ভারতের সেভেন সিস্টারসের বাজারে প্রবেশের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় দেশি-বিদেশি আরও অনেক কোম্পানি এ পার্কে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ কারণে আমরা এ পার্কে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছি।
প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক জানান, প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের অভ্যন্তরে দুই দশমিক ৮৫ একর জায়গায় এই ‘নলেজ পার্ক’ স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় এক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর তিন হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।