কেএম রুবেল, ফরিদপুর: আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ছোট-বড় পশু খামারিরা ৫০ হাজারের বেশি পশু প্রস্তুত করেছেন। কভিড-১৯ মহামারিতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কোনো পশু না এলে খুশি হবেন তারা। এখন শেষ মুহূর্তে খামারিরা তাদের পশুর পরিচর্যা করে সময় পার করছেন।
ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরুল্লাহ মো. আহসান জানান, কভিড-১৯-এর কারণে এবার সব উপজেলায় আমরা অনলাইনে ও ফেসবুক লাইভে কোরবানির পশু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। খামারিরা তাদের গরুর ছবি, ওজন ও দাম নির্ধারণ করে পেজে পোস্ট দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, চলতি বছর ৪৮ হাজার ৩৪৯টি গরু-ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে। তবে জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৬ হাজার। আমরা জেলার চাহিদা পূরণের পরও ১৪ হাজার অন্যত্র পাঠাতে পারব।
ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা এলাকায় ‘তাহেরা এগ্রোর’ মালিক সৈয়দ আবরার নওশের বলেন, আমার খামারে ৫০টি বড় আকারের গরু কোরবানির বাজারের জন্য প্রস্তুত করেছি। আমরা সারা বছর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে পশুগুলোকে উপযুক্ত করি, আশা করছি ভালো দাম পাব।
এরই মধ্যে ২৫টি গরু বিক্রিও হয়েছে বলে জানান এই খামারি।
একই এলাকার শাহ্ আলী বাগদাদী দুগ্ধ খামারের মালিক সৈয়দ জহুরুল আলম জানান, তার খামারে চলতি বছর কোরবানির জন্য ২০টি গরু প্রস্তুত করেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধায় ফেসবুক লাইভে গরু বিক্রির করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এ বছর কোরবানিতে ৩৫০ টাকা কেজি দরে গরু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেলার বিভিন্ন খামারের গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খামারির তাদের পশুর যত্ন নিচ্ছে। খাওয়ানো হচ্ছে কাঁচা ঘাষ, খড়, ভূষি, খৈলসহ নানা সামগ্রী।
এ সময় খামারের কাজে নিয়োজিত কয়েক জন জানান, আমরা খামারে কাজ করি। নিয়মিত গরুগুলোকে খাবার দেয়া, খামার পরিষ্কার করা, গরুর গোসল করানো থেকে সব কাজ করে থাকি। আর এখান থেকে যে বেতন পাই, সেই টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলে।
ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় ছোট-বড় এক হাজার খামারি রয়েছেন। তাদের মধ্যে পদ্মার চারঞ্চলে তুলনামূলক বেশি খামারি রয়েছেন। খামারিরা আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে অর্ধলাখের বেশি পশু প্রস্তুত করেছেন, যা এখানের চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা যাবে।