শেয়ার বিজ ডেস্ক: গত বছর মার্কিন এডুটেক প্ল্যাটফর্ম কোর্সেরার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোর্সে গড়ে প্রতি মিনিটে একজন নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছে। কোর্সেরার সিইও জেফ ম্যাজিওনকালডা বৃহস্পতিবার বলেছেন, মানুষজন জেনারেটিভ এআই খাতে সম্ভাব্য জোয়ার বয়ে আনতে যে নিজেদের পারদর্শী করে তুলছে, তারই স্পষ্ট চিহ্ন এটি। খবর: রয়টার্স।
ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির পেছনের প্রযুক্তি বিশ্বে ঝড় তুলেছে। ভাইরাল চ্যাটবটের নিজস্ব সংস্করণগুলো আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে এক সাক্ষাৎকারে ম্যাজিওনকালডা রয়টার্সকে বলেন, আমি বলব আসল হটস্পট হলো জেনারেটিভ এআই। কারণ এটি অনেক মানুষকে প্রভাবিত করে।”
কোর্সেরা ওপেনএআই ও গুগলের ডিপমাইন্ডসহ এআই রেসে এগিয়ে থাকা কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে এআই কোর্স অফার করতে চাইছে, ম্যাজিওনকালডা বলেছেন।
বিনিয়োগকারীরা আগে ভয় পেয়েছিলেন যে, জেনারেটিভ এআইয়ের ওপর ভিত্তি করে অ্যাপগুলো এড-টেক সংস্থাকে উৎখাত করতে পারে। উল্টো, প্রযুক্তিটি আরও বেশি লোককে আরও পারদর্শী হতে উৎসাহিত করে কোর্সেরার মতো সংস্থাকে উপকৃত করেছে।
কোম্পানির ৮০০টিরও বেশি এআই কোর্স রয়েছে। গত বছর ৭ দশমিক ৪ মিলিয়নেরও বেশি লোক কোর্সে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
কোর্সেরা বিভিন্ন ভাষায় প্রায় চার হাজার কোর্স অনুবাদ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। এ বছর এআইয়ের ভূমিকার জন্য নিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে কোর্সেরা।