কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখে

বর্তমানে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার শুধু স্থানীয় বাজারেই সীমাবদ্ধ নয়, দেশের বাইরেও সম্প্রসারিত হয়েছে। এজন্য প্রয়োজন কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন। পণ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা উদ্যোক্তাদের এ বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখা জরুরি। অনেকে হয়তো কোথায়, কীভাবে এ সার্টিফিকেশন পাওয়া যাবে সে বিষয়ে জ্ঞাত নন। আসুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

পণ্যের লেবেলিং
দেশীয় পণ্যের অবাধ চলাচল ও প্রবেশাধিকার সহজ করার পাশাপাশি দেশি ও বিদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়ানোর লক্ষ্যে পণ্যের লেবেলে উৎপাদনকারীর নাম, ঠিকানা ও দ্রব্যটি কোন দেশে প্রস্তুত হয়েছে প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ করার জন্য সরকার কিছু নির্দেশনা দিয়েছে
# দেশীয় বাজারে বিক্রির বেলায় লেবেল বিদেশি ভাষার হলে পাশাপাশি বাংলায়ও লেবেলিং থাকতে হবে
# উৎপাদনকারীর ঠিকানা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে
# লেবেলে সংরক্ষণ পদ্ধতি, ব্যবহারবিধি ও প্রয়োজনীয় সতর্কীকরণ নির্দেশনা উল্লেখ থাকতে হবে
# উৎপাদনের তারিখ, মান উত্তীর্ণের মেয়াদ, ওজন, পরিমাণ, ব্যাচ ও কোড নং প্রভৃতি উল্লেখ থাকবে
# যেসব পণ্য খালি হাতে ধরলে বা খালি চোখে দেখলে ক্ষতি হতে পারে, সেসব পণ্যে সতর্কতা নির্দেশনা থাকবে

পণ্যের মোড়কজাতকরণ
সব প্যাকেটের মোড়কের গায়ে যথাযথ উৎপাদনকারীর নাম ও ঠিকানা রাখা আবশ্যক। মোড়কজাত পণ্যের সাধারণ কিংবা শ্রেণিগত নাম থাকবে। পণ্যসামগ্রী উৎপাদন ও মোড়কজাতকরণের তারিখ ও মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করতে হবে। পণ্যের খুচরা বিক্রিমূল্যও গুরুত্বপূর্ণ।

সার্টিফিকেশন মার্কস লাইসেন্স প্রদান
পণ্য বাজারজাতকরণের আগে যে কাজটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন। পণ্যটি গুণগত মানসম্পন্ন বা ভোক্তার জন্য উপযোগী কি না, তা অভীক্ষার লক্ষ্যে বিএসটিআই কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন লাইসেন্স দিয়ে থাকে। এ লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া অনেকেরই হয়তো জানা নেই। এতে ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগে পড়েন। এ সমস্যার সমাধানে প্রক্রিয়াটি জেনে নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সার্টিফিকেশন মার্কস (সিএম) লাইসেন্স প্রদান করা জরুরি।
সার্টিফিকেশন মার্কস লাইসেন্স পেতে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে
# বিএসটিআই সার্টিফিকেশন মার্কস লাইসেন্স গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক অফিসের ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সেন্টার’-এ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ জমা দিতে হবে
# প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দেওয়ার পর যাছাই-বাছাই করতে বিএসটিআই কর্মকর্তারা কারখানা পরিদর্শন করে
# কারাখানা পরিদর্শন প্রতিবেদন সন্তোষজনক হলে কারখানার পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ হতে পরীক্ষণের জন্য বিএসটিআই’র পরীক্ষাগারে জমা দিতে হবে
# পণ্যের গুণগত মান বাংলাদেশের মান অনুযায়ী পরীক্ষায় সন্তোষজনক হলে লাইসেন্স প্রদানের জন্য পরীক্ষণ ফি পরিশোধ করলে লাইসেন্স ইস্যু করা হয়
# সাধারণত এই লাইসেন্স তিন বছরের জন্য দেওয়া হয়

তথ্যসূত্র: এসএমই ফাউন্ডেশন

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০