শেয়ার বিজ ডেস্ক: লিউকেমিয়ার ওষুধ উৎপাদনের জন্য জাতিসংঘের মেডিসিন পেটেন্ট বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেছে সুইস-আমেরিকান বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি নোভারটিস। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর: এনডিটিভি।
চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে, বিশ্বের মধ্যম আয়ের সাত দেশ মিসর, গুয়েতেমালা, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও তিউনিসিয়ার কিছু বাছাই করা কোম্পানিকে বিশেষ লাইসেন্স দেয়া হবে। এসব দেশের লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলো লিউকেমিয়ার একমাত্র মুখে খাওয়ার ওষুধ নিলোটিনিবের জেনেরিক (ভিন্ন নামের একই ওষুধ) উৎপাদন করতে পারবে।
প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিন লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের দেহে শ্বেত রক্তকণিকা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। ক্রমবর্ধমান এসব শ্বেত রক্তকণিকা একসময় লোহিত রক্তকণিকাকে গ্রাস করতে থাকে। এ স্তরকে বলা হয় ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ।
দ্বিতীয় ধাপে অস্থিমজ্জায় হানা দেয় শ্বেত রক্তকণিকা এবং তা ক্ষয় করতে থাকে। এ কারণে নতুন রক্ত তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং অসহ্য যন্ত্রণায় একসময় রোগীর মৃত্যু হয়।
অন্যান্য ক্যানসারের মতো লিউকেমিয়ার চিকিৎসাও জটিল ও ব্যয়বহুল। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ ক্যানসারের মুখে খাওয়ার কোনো ওষুধও ছিল না।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুডস অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদন সাপেক্ষে প্রথম লিউকেমিয়ার মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘নিলোটিনিব’ বাজারে আনে নোভারটিস। এখন পর্যন্ত এটাই লিউকেমিয়া রোগের মুখে খাওয়ার একমাত্র ওষুধ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অপরিহার্য ওষুধের তালিকায় নাম রয়েছে নিলোটিনিবের।
জাতিসংঘের মেডিসিন পেটেন্ট বিভাগের প্রধান চার্লস গোর বলেন, বিশ্বজুড়ে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উচ্চ গুণাগুণসম্পন্ন ওষুধ জরুরি উপকরণ। আমরা মনে করছি, এই চুক্তির মাধ্যমে মানবসভ্যতা সেই লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগোলো।
নোভারটিসের গ্লোবাল হেলথ অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি বিভাগের প্রেসিডেন্ট লুৎজ হেজেমান বলেন, জাতিসংঘের সঙ্গে এমন একটি কল্যাণমূলক পদক্ষেপের অংশ হতে পারায় আমরা গর্বিত।