ক্যানসার রুখতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম

ক্যানসার কেন হয়, তার সঠিক কারণ বলা মুশকিল। কিছু ক্যানসার সরাসরি পারিবারিক ইতিহাস ও জিনগত ত্রুটির সঙ্গে সম্পর্কিত। আবার দৈনন্দিন জীবনাচরণ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ক্যানসার প্রতিরোধে সার্বিকভাবে কিছু পন্থা মেনে চলুন। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

ক্যানসার রুখতে সবুজ ও রঙিন শাকসবজি এবং তাজা ফলমূল পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। এসব খাবারে যথেষ্ট আঁশ আছে, যা বৃহদান্ত্রের ক্যানসার রুখতে সাহায্য করে। এছাড়া এসব খাদ্যে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা কোষ ভালো রাখে। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য ও শিমজাতীয় খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।

কোনো ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। এসব খাবারে ব্যবহƒত প্রিজারভেটিভ ও ট্রান্স ফ্যাটে ক্যানসার উৎপাদনকারী উপাদান থাকে। লাল মাংস বা রেড মিট (গরু, খাসির মাংস) দৈনিক তিন আউন্সের কম খাবেন। লাল মাংসের চেয়ে আমিষের উৎস হিসেবে মুরগির মাংস বা মাছ খাওয়া ভালো।

চর্বিজাতীয় খাদ্য সীমিত রাখুন। অল্প পরিমাণে ভোজ্যতেল ব্যবহার করুন। লবণাক্ত খাবারসহ রান্নায় ও খাওয়ার সময় পাতে লবণের ব্যবহার সীমিত করুন। ছত্রাকযুক্ত খাবার খাবেন না। পচনশীল খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ ব্যবহার করুন। কোনো ধরনের পোড়া খাবার খাবেন না।

স্থূলতার সঙ্গেও বেশ কিছু ক্যানসারের সম্পর্ক আছে। কায়িক পরিশ্রম করুন। প্রতিদিন এক ঘণ্টা দ্রুতগতিতে হাঁটুন বা এমন কোনো ব্যায়াম করুন, যাতে শরীর ঘামে।

ধূমপান ও মদ্যপান করবেন না। ধূমপান শুধু ফুসফুসের ক্যানসার নয়, অনেক ধরনের ক্যানসারের জন্যও দায়ী।

সিগারেটের নিকোটিনে অনেক বেশি কারসিনোজেন থাকে, যা ক্যানসারের জন্য দায়ী। গুল বা তামাকপাতা ব্যবহার করবেন না। এ ছাড়া পর্যাপ্তভাবে ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন। শিল্পকারখানার ক্যানসারবাহী উপাদান ও তেজস্ক্রিয়ার ক্ষতিকর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

ডা. এটিএম কামরুল হাসান

সিএমও, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউিট ও হাসপাতাল

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০