শেয়ার বিজ ডেস্ক: দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। নেই কোনো আন্তর্জাতিক বা দেশীয় নিয়ন্ত্রক। তাই বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রায় (ক্রিপ্টো কারেন্সি) বিনিয়োগের বিষয়ে সতর্ক করেছে। সম্প্রতি ভারতেও এর লেনদেন বন্ধ করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। সতর্ক করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়েও। তা সত্ত্বেও বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল মুদ্রার চাহিদায় ভাটা পড়ছে না। উল্টো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এর আগ্রহ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যাপজেমিনির জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর আনন্দবাজার।
জরিপ বলছে, উচ্চবিত্তদের মধ্যে এই মুদ্রা লেনদেনের প্রবণতা বেশি। অনেকে আর্থিক পরামর্শদাতার মতামতের তোয়াক্কা করেন না। যদিও একাংশের মতে, শুধু বিত্তশালীই নন, কম সময়ে বেশি মুনাফার লোভে ইদানীং বহু মধ্যবিত্তও এই মুদ্রায় বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন ঝুঁকির কথা না ভেবেই।
অন্তত ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ রয়েছে, এমন একাংশের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল ক্যাপজেমিনি। তাতে দেখা যায়, গত দু’বছরে তাদের বিনিয়োগ অন্তত ২০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। সম্পদ আরও বাড়াতে অনেকে বিনিয়োগ করছেন ক্রিপ্টো কারেন্সিতে। কেউ আবার এই মুদ্রা সম্পর্কে তথ্য জানানোর জন্য পরামর্শদাতাদের চাপও দিচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণ সম্পদশালীরা।
সমীক্ষা বলছে, লোভের পাশাপাশি আর্থিক পরামর্শদাতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের অভাবও এর অন্যতম কারণ। যাদের নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র ৫৬ শতাংশ পরামর্শদাতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। ডিজিটাল মুদ্রা কেনা বা দীর্ঘ মেয়াদে জমানোর নেশা তৈরি হয়েছে ২৯ শতাংশের মধ্যে। এতটা না হলেও তাৎক্ষণিকভাবে আগ্রহ তৈরি হয়েছে আরও ২৭ শতাংশের মধ্যে। অথচ এদের মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ জানিয়েছেন, আর্থিক পরামর্শদাতাদের থেকেই এই মুদ্রা সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝুঁকি আছে জেনেও অল্প সময়ে বেশি মুনাফার জন্য মধ্যবিত্তদের মধ্যে ডিজিটাল মুদ্রা কেনার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বছরের শুরুতে বিটকয়েনের দাম দ্রুত বাড়ছিল। কিন্তু বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাংক ও সরকারের কড়া নজরে ধস নামে এই বাজারে। এতে বহু মানুষের ক্ষতি হয়। সবচেয়ে বেশি লোকসান হয় মধ্যবিত্তদের। এই অবস্থায় মুদ্রাগুলোকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছেন নিয়ন্ত্রকেরা। অনেক বিশেষজ্ঞই পরামর্শ দিচ্ছেন, ডিজিটাল মুদ্রা থেকে দূরে থাকাই ভালো।
ক্যাপজেমিনির জরিপ ঝুঁকি সত্ত্বেও আগ্রহ ডিজিটাল মুদ্রায়
