নিজস্ব প্রতিবেদক: আমদানিকারকের ঘোষণা ছিলো ক্যাপসিক্যাম আমদানির। কিন্তু আমদানি করা হয়েছে থ্রি পিস, শিসা জাতীয় মাদক, যৌন উত্তেজনক ওষধু, ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ। বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা মিথ্যা ঘোষণার এসব পণ্য আটক করেছে। যার মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা হয়েছে। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা এসব পণ্য আটক করেছে। বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া শেয়ার বিজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, বেনাপোলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিয়াম এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি ভারত থেকে ৪ হাজার ৯২৭ কেজি ক্যাপসিক্যাম আমদানি করেন। আমদানি করা পণ্য খালাসে আমদানিকারকের পক্ষে রোববার সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স স্বদেশ ট্রেডিং বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণার পণ্য রয়েছে-এমন গোপন সংবাদ থাকায় চালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়।

এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার চালানে আমদানি করা পণ্যের কার্টনগুলো খুলে পণ্যগুলো শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। যাতে ক্যাপসিক্যামের পরিবর্তে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ১ হাজার ৫০টি থ্রি পিস, ২৪০ কেজি শিসা জাতীয় মাদক, ২০ কেজি যৌন উত্তেজক ওষুধ, ১০০ কেজি ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ও ৫০ কেজি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ পাওয়া যায়। এসব পণ্যে প্রায় ১০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণা দেয়ায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী পণ্যগুলো বাজেয়াপ্ত এবং সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
##