১৯৯৮-৯৯: পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এ কাজটি করে
২০০১: ৪ জুলাই মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণা দেন নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এলে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন
২০০৪-০৫: পদ্মা সেতু নির্মাণে জাইকা কর্তৃক চূড়ান্ত সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পাদন। সেতুটি নির্মাণে মাওয়া-জাজিরা রুটকে চূড়ান্ত নির্বাচন
২০০৭: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে একনেক সভায় পদ্মা সেতু প্রকল্প অনুমোদন। শুধু সড়ক সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা
২০০৮: ক্ষমতায় এসে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। নকশায় পরিবর্তন এসে রেলপথ সংযোজনের সিদ্ধান্ত
২০১১: পদ্মা সেতুর নির্মাণ শুরুর জন্য দরপত্র আহ্বান। প্রথম দফা সেতুর ব্যয় সংশোধন। রেলপথ সংযোজনের পর দ্বিতল সেতুর নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা
২০১২: ২৯ জুন পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঋণ স্থগিতের ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংক। তবে সেপ্টেম্বরে শর্তসাপেক্ষে এ প্রকল্পে আবার ফেরত আসে সংস্থাটি
২০১৩: পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ সহায়তার অনুরোধ প্রত্যাহার করে নেয় বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণে চূড়ান্ত দরপত্র আহ্বান
২০১৪: ১৭ জুন পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের মধ্যে চুক্তি সই। ২৬ নভেম্বর মূল নির্মাণকাজ শুরু
২০১৫: ১২ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাওয়া প্রান্তে মূল সেতু ও জাজিরা প্রান্তে নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করা হয়
২০১৭: ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান। জাজিরা প্রান্তে ৩৭-৩৮ নম্বর পিলারের মাঝে স্প্যানটি বসানো হয়
২০২০: ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ স্প্যান বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পুরো সেতু। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হয়
২০২১: ২৩ আগস্ট পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ সড়ক সø্যাব স্থাপন সম্পন্ন হয়। এর মাধ্যমে পুরো সেতুর অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শেষ হয়
২০২২: এপ্রিলে পিচ ঢালাই সম্পন্ন হয়। সব কাজ শেষে ২২ জুন সেতুটি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ (২৫ জুন) স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন