শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত তিন বছরে অর্ধেকের বেশি ইউরোপবাসীর ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
জরিপে দেখা গেছে, খাবার, জ্বালানি ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত ব্যয় হওয়ায় গত তিন বছরে অর্ধেকের বেশি ইউরোপের নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। এ মহাদেশের এক-চতুর্থাংশ নাগরিক বলছেন, তারা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। অর্ধেকের বেশি মানুষ মনে করেন, আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
ফ্রান্সের এনজিও সিকাউরস পপুলায়ারের তত্ত্বাবধানে গবেষণা সংস্থা ইপসোস এ জরিপ চালায়। এতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধির ব্যাপক প্রভাবের চিত্র উঠে এসেছে। অর্থাৎ অনুন্নত ও তুলনামূলক কম উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি সংকটে পড়েছে অনেক উন্নত দেশও।
ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের ছয় হাজারের বেশি মানুষের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, ইউরোপের উন্নত অর্থনীতির এ ছয় দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। সবচেয়ে বেশি ৬৮ শতাংশ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে গ্রিসে। এ হার ফ্রান্সে ৬৩, ইতালিতে ৫৭, জার্মানিতে ৫৪, যুক্তরাজ্যে ৪৮ এবং পোল্যান্ডে কমেছে ৩৮ শতাংশ।
৮০ শতাংশ মানুষ জানান, দৈনন্দিন জীবনে তারা খরচ কমাতে নানা বিষয়ে আপস করতে বাধ্য হচ্ছেন। ভ্রমণ কমিয়েছেন ৬২ শতাংশ। বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে ধারদেনা বেড়েছে ৪২ শতাংশ, ৪০ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় চাকরি খুঁজছেন। সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো বিষয়, ২৯ শতাংশ ইউরোপীয় নাগরিক একবেলা খাবার বন্ধ রাখছেন, ঘর হারানোর আতঙ্কে আছেন ২৭ শতাংশ।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৭ শতাংশ জানান, তাদের আর্থিক পরিস্থিতি অনেকটা অনিশ্চিত। অপ্রত্যাশিত বড় ধরনের কোনো একটি খরচ তাদের সবকিছু পাল্টে দিতে পারে। জরিপে অংশ নেয়া ৫৫ শতাংশ লোক বলছেন, তাদের দেনা পরিশোধের তাড়া আছে।
অনেকে মনে করছেন, তাদের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে ইতালীয় ও গ্রিক নাগরিকরা বেশি উদ্বিগ্ন।